নাইজেরিয়াতে গত বছর ইবোলার আতঙ্ক সৃষ্টিকারী প্রাদুর্ভাবের পর সেই সময়কার মুহূর্তগুলো নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ চলছে। ইবোলার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পরও এর প্রকোপ ঠেকাতে সাহসী ভূমিকা নেন চিকিৎসাকর্মীরা। সেই ঘটনা নিয়েই এই চলচ্চিত্রটির নাম ‘নাইনট্রি থ্রি ডেইজ’।
নাইজেরিয়ার প্রতিভাবান কিছু শিল্পীকে নিয়ে চলচ্চিত্রটি তৈরি করছেন হলিউডের শিল্পী ড্যানি গ্লোভার। তিনি নিজেও এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
নাইজেরিয়ার জন্য সেটা ছিল একটা ভয়ংকর সময়। লাগোসে ইবোলার প্রাদুর্ভাব শুরু হলো এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল। পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে সে সম্পর্কে কারো কোনো ধারণাই ছিল না। কিন্তু বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এক বছর পেরিয়ে গেছে। এবার এই ঘটনার সময় নিয়ে একটি সিনেমা তৈরি হচ্ছে।
এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো আফ্রিকায় কোন চলচ্চিত্র তৈরি করলেন ড্যানি গ্লোভার। তিনি বলছিলেন, গত বছর যখন আফ্রিকায় ইবোলা রোগটির সবচেয়ে বেশি প্রকোপ হয়েছিল, তখন আমেরিকানদের দেশে ফিরে যাওয়া নিয়ে যে ভীতি তৈরি হয়েছিল, তা নিয়েই এই সিনেমাটি।
তিনি আরও বলেন, ইবোলাকে ঘিরে তৈরি হওয়া আতঙ্কের বিস্তারই এর প্রতিপাদ্য।
ড্যানি গ্লোভার এখানে চিকিৎসক ডক্টর বেনজামিন ওহিএয়ারির ভূমিকায় অভিনয় করছেন। তার পরিচালিত প্রাইভেট ক্লিনিকেই প্রথম ইবোলা সংক্রমণের বিষয়টি শনাক্ত করা হয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে তাকে আলাদা করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে ডক্টর বেঞ্জামিনের চারজন সহকর্মী মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসক স্টেলা অ্যামিও আদাদেভোহ ছিলেন। তার চরিত্রে অভিনয় করছেন একজন নাইজেরীয় শিল্পী।
ডক্টর স্টেলা একইসঙ্গে চিকিৎসা সেবা এবং ঘর দুটোই সমান তালে কিভাবে সামলে চলতেন সেটাও ছিল একটা বিস্ময়। এই দলের বেশিরভাগই নাইজেরীয়। চলচ্চিত্রটির একজন প্রযোজক ডোটুন ওলাকুনরি বলছেন, এটি নাইজেরিয়ার নিজস্ব গল্প।
দেশটি ইতিহাসের জটিল এক সময়কার ঘটনাপঞ্জী এই চলচ্চিত্র। হয়তো এটাই নাইজেরিয়ার জন্য যথার্থ সময় এই প্রশ্ন তোলার যে, ‘ইবোলা আবার ফিরে এলে তা মোকাবেলার জন্য তারা কি প্রস্তুত?’ দুঃখজনক এবং উদ্বেগের হলেও, এটা সত্যি যে, এই মুহূর্তে এর উত্তরটি নেতিবাচক। সূত্র : বিবিসি বাংলা