২০ মার্চ ৮৩ বছরে পা রাখলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালনের প্রস্তুতি নিয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
সকাল ১০টায় এরশাদের বারিধারাস্থ বাসভবন প্রেসিডেন্ট পার্কে জন্মদিনের কেক কাটবেন এরশাদ। এছাড়া সেখানে সংবর্ধনার আয়োজন করেছে পল্লীবন্ধু ফাউন্ডেশন।
বেলা ১টায় বনানী রাজউক মাঠে গরিব ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টি।
এছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হোটেল ওয়েস্টিনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের উদ্যোগে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।
সব অনুষ্ঠানেই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উপস্থিত থাকবেন বলে তার প্রেস ও রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভ রায় বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
এদিকে এরশাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে তার বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকেই অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দেন।
১৯৮২ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে (চিফ অব আর্মি স্টাফ) লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে আসীন হন। কিছু দিনের মধ্যেই তিনি বাংলাদেশের সামরিক শাসক হিসেবে আবির্ভূত হন। এরপর ১৯৮৬ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলে থাকা অবস্থায় এরশাদ রংপুরের ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৫টিতেই জয়ী হন। এরপর ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুরের ৪টি ও কুড়িগ্রামের ১টিসহ মোট ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৫টিতেই জয়ী হন। কিন্তু ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি তিনি।
সর্বশেষ, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যোগ দেন এরশাদ। এ নির্বাচনে রংপুর, কুড়িগ্রাম ও ঢাকার ৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩টিতেই জয়ী হন তিনি।
৮২ বছর বয়সেও জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এরশাদ।