প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে উত্থাপনের জন্য এক গুচ্ছ দাবি ঠিক করেছে সিলেট আওয়ামী লীগ। আগামী ২৪ মার্চ সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠেয় জনসভায় সিলেটবাসীর পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এসব দাবি তুলে ধরবেন।
এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, সদর হাসপাতালকে বিশেষায়িত (শিশু) হাসপাতাল করা, আখাউড়া-সিলেট রেললাইন সংস্কার, সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন, ওসামানী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপদান ও বিমানের রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপন, সিলেটে স্পেশাল ইকোনোমকি জোন স্থাপন এবং সুরমা-কুশিয়ারা নদী ড্রেজিং করার দাবি।
তবে এসব দাবির মধ্যে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তরের ঘোষণা দেওয়ার দাবিটিই সবচেয়ে জোরালোভাবে তোলা হবে বলে নিশ্চিত করেছে দলীয় সূত্র।
এ দাবিতে সোমবার দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এ মানববন্ধন আয়োজন করে।
সূত্রমতে, ২০০৮ সালের ২৬ জানুয়ারি কম্পিউটার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ যাত্রা শুরু করে।
বর্তমানে শিক্ষক সংকটের কারণে কলেজটি একধরনের অচলাবস্থাতেই রয়েছে । এতে পর্যাপ্ত একাডেমিক ভবন, যন্ত্রপাতি ও শিক্ষার্থী থাকার পরও পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে।
শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, কলেজের এ সংকটাপূর্ণ অবস্থা থেকে উত্তোরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে কলেজকে ‘বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়’ এ রূপান্তর করা।
তাদের দাবি, বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার বিধিমালা রয়েছে এবং ওই বিধিমালা অনুযায়ী কলেজটিকে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য সব ভৌত অবকাঠামো ও উপকরণ রয়েছে।
এছাড়া ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনাতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও সমৃদ্ধ বিভাগ সিলেটে কোনো প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় নেই।
এ ব্যাপারে কলেজের সিএসই বিভাগের প্রধান মো. আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার বিধিমালা অনুযায়ী কলেজটির অবকঠামো ও উন্নত প্রযুক্তির ল্যাব রয়েছে। কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করলে এ অঞ্চলের শিক্ষার মান অনেক উন্নত হবে।’
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ মার্চ সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় আসবেন। ফেঞ্চুগঞ্জ পৌঁছেই তিনি উপজেলার নিজামপুর এলাকায় দেশের বৃহৎ সার কারখানা শাহজালাল ফারটিলাইজার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় একই উপজেলার পারুলীকোনায় ৯০ মেগাওয়াট সিসিবিপি পাওয়ার প্লান্টের দ্বিতীয় ইউনিটের ও বেলা সোয়া ১১টায় সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্ট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর বিকাল ৩টায় নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।