টানা তিন দিনের পতনের পর গতকাল সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে সূচক বেড়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গত রোববার শেয়ারবাজারে বড় দরপতন ঘটে। আর সেখান থেকে গতকাল সূচক ঘুরে দাঁড়ায়।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৪৮ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচকটি বেড়েছে ১৭৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। তবে লেনদেনের ক্ষেত্রে ছিল দুই বাজারে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র। ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বাড়লেও কমেছে চট্টগ্রামের বাজারে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, কয়েক দিন ধরে তালিকাভুক্ত বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমার কারণে সূচকেও নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেয়। আর তাতে হুজুগে ও মনস্তাত্ত্বিক ভয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও ভীত হয়ে শেয়ার বিক্রি শুরু করেন। সেখানে গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এতে করে সূচক বাড়তে থাকে এবং তার প্রভাব অন্যান্য শেয়ারের দামেও পড়ে।
ডিএসইতে গতকাল ৩১৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৮৬টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১০২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৮টির দাম। লেনদেন হয়েছে ৪১৬ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৭৮ কোটি টাকা বেশি।
ঢাকার বাজারে সোমবার লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির তালিকায় ছিল যথাক্রমে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস, বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ও ব্র্যাক ব্যাংক। এদের মধ্যে বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের প্রতিটি শেয়ারের দাম রোববার ১০০ টাকার নিচে নেমে গিয়েছিল। আর গতকাল সূচকের ঘুরে দাঁড়ানোর দিনে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ বা চার টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে আবারও ১০০ টাকার ওপরে উঠে আসে।
সিএসইতে সোমবার ২৪১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৫০টির দামই বেড়েছে, কমেছে ৫৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৩টির দাম। মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ৩১ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে তিন কোটি টাকা কম।