স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন দলীয়ভাবে হবে। এতে মেয়র, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে স্থানীয় সরকারের ৫টি প্রতিষ্ঠানের সংশোধন আইন একযোগে অনুমোদন করা হয়। এসব আইন হচ্ছে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধন আইন-২০১৫, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১৫, জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১৫, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) সংশোধন আইন ২০১৫ ও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) সংশোধন আইন, ২০১৫।
এখন স্থানীয় সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর কোনো কারণে নির্বাচন না হলে আগের জনপ্রতিনিধিরাই ক্ষমতায় থাকেন। কিন্তু সংশোধিত আইন অনুযায়ী পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর নির্বাচন না হলেও জনপ্রতিনিধি দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। তাঁর পরিবর্তে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে। আগে শুধু সিটি করপোরেশন আইনে প্রশাসক নিয়োগের বিধান ছিল।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, দেশের বিরাজমান ৫ ধরনের স্থানীয় সরকার আইনের সংশোধনীতে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। ৫ ধরনের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা হচ্ছে- ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশন।
তিনি বলেন, সংশোধিত স্থানীয় সরকার আইনে মেয়াদ শেষে কোনো জটিলতার কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। যা সিটি করপোরেশন আইনে রয়েছে। এ আইন পাস হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদ,উপজেলা পরিষদ,পৌরসভা এবং জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের এর পর জাতীয় সংসদে আইনটি পাস হবে।
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, ডিসেম্বরে পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত স্থানীয় সরকার আইনটি পৌরসভার নির্বাচনের ক্ষেত্রে অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে।