শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ৩দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। একই সাথে শারদীয় দুর্গোৎসবে ঈদের মতো বঙ্গভবন, গণভবন, নগরভবন এবং জেলা পর্যায়ে সরকারি ভবনসমূহে আলোকসজ্জা, কারাগারে উন্নত খাবার পরিবেশন, ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাতিল করে ইসলামি ফাউন্ডেশনের অনুরূপ হিন্দু ফাউন্ডেশন এবং পুজোমন্ডপে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবী জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকেশ্বরী মন্দির মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এই আহ্বান জানান। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি জানানোর লক্ষ্যে এ মতিবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, স্বপন কুমার সাহা, শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, সাবিত্রী ভট্টাচার্য্য, জে. এল. ভৌমিক, নারায়ণ সাহা মনি, মিলন কান্তি দত্ত, নির্মল চ্যাটার্জী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেব। এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানের শুরুতেই দুর্গোৎসবের ছুটি শুক্রবার ২৩ অক্টোবরের পরিবর্তে বৃহস্পতিবার ২২ অক্টোবর ঘোষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
সভায় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে শারদীয় দুর্গা পূঁজামন্ডপের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৩৮৭ টি। এ বছর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৭৪। পূঁজাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও ১৪ দলীয় জোটের সাথে মতবিনিময় হয়েছে। প্রতিটি সভায় সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এবং সর্বাত্মক নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ তাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং এমপিরা পূঁজার সময় যার যার এলাকায় থাকবেন।