আঙ্কারার যে জনসভায় বিস্ফোরণটি ঘটেছিল, তার আয়োজকরা এখন বলছেন, বিস্ফোরণে ১২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকেই নিহতদের স্মরণে ঘটনাস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন।
উপস্থিত মানুষজন শোক পালন করছেন ঠিকই, কিন্তু একই সাথে তাদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভও কাজ করছে। জনগণের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তার একটা কারণ নিরাপত্তা ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা।
নিহতদের প্রতি শোক জানাতে আসা লোকদের সরকারবিরোধী শ্লোগানে এই ক্ষোভের প্রতিফলন ছিল স্পষ্ট। তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুতর এই বোমা আক্রমণের জন্য তারা সরকারকেই দায়ী করছেন।
তারা বলছেন, সরকার যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে নি, এবং প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান তার কুর্দিবিরোধী কথাবার্তার মধ্যে দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছেন এবং এক পক্ষকে আরেক পক্ষের পেছনে লাগিয়ে দিয়েছেন।
কুর্দি সমর্থক নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে, এই আক্রমণের পেছনে সরকারেরও হাত আছে- যা তুর্কি সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতুলু বলেছেন, দুটি আক্রমণই চালিয়েছে আত্মঘাতী হামলাকারীরা এবং তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু এমন ব্যাপক প্রাণহানির পর তুরস্কের সমাজে ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্তিই যেন বেশি প্রকট হয়ে উঠছে। তুরস্কে আর মাত্র তিন সপ্তাহ পরই জাতীয় নির্বাচন।
একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নির্বাচন যথাসময়েই হবে তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোর দার করা হবে। সূত্র : বিবিসি বাংলা