দামি কোনও উপহার নয়। পরিবারের লোকজনের ভালবাসা আর ভক্তদের সমর্থনই তাঁর কাছে শ্রেষ্ঠ পাওনা। জন্মদিনে ভক্তদের সামনে দাঁড়িয়ে এমনটাই জানালেন অমিতাভ বচ্চন।
আজ তিয়াত্তরে পা রাখলেন বলিউডের ‘শাহেনশাহ’। প্রতিবারই এই বিশেষ দিনটায় তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করেন অমিতাভ। জন্মদিন উপলক্ষে ফুল দিয়ে সাজানাও হয় বচ্চনদের বাংলো। আজও অন্যথা হয়নি। সকাল থেকেই জনকের সামনে ছিল উপচেপড়া ভিড়। ভক্তদের অবশ্য হতাশ করেননি অমিতাভ। দুপুরের দিকে সবুজ পাঞ্জাবি পরে জনক থেকে যখন বেরোলেন, বাইরে তখন হাজারো মানুষ দাঁড়িয়ে। পিছনে বাজছে তাঁরই ছবি ডনের গান, ‘‘আরে দিওয়ানো মুঝে পেহচানো।’’
ভক্তদের দেখে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হাত নাড়লেন অমিতাভ। নিজের মোবাইলটা বার করে বাংলোর বাইরে জড়ো হওয়া ভিড়টার সঙ্গে নিজস্বীও তুললেন। একটু পরেই মুখোমুখি হলেন সংবাদমাধ্যমের। সেখানেই জানালেন, ছোটবেলায় এই দিনটায় উপহারের প্রতি বিশেষ ঝোঁক থাকলেও, জীবন এখন অন্য রকম। বললেন, ‘পরিবার, বন্ধু আর শুভাকাঙ্খীদের ভালবাসার কাছে সব কিছুই ছোট বলে মনে হয়। এই দিনটায় পরিবারের সঙ্গে কাটানোর সুযোগ পাওয়াটা সত্যিই সৌভাগ্যের।’ আজকের জন্য বিশেষ কোনও পরিকল্পনা? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অমিতাভ বলেছেন, ‘পরিবারের সঙ্গেই ছিলাম। কাল রাতেই আমার মেয়ে শ্বেতা আমার জন্য রান্না করেছিল। আজ জয়া রান্না করছে। তবে খাওয়ার বিষয়ে আমার নির্দিষ্ট কিছু পছন্দ নেই। অভিষেক লন্ডন থেকে ফোন করেছিল কাল রাতে। আজ আবার কথা হবে। এখন প্রযুক্তি এতই উন্নত যে, দূরে থাকলেও একে অপরের সঙ্গে দেখা হওয়াটা সমস্যা নয়।’ অমিতাভ আরও জানিয়েছেন, আগে জন্মদিনে কাজ করলেও এখন পরিবারের চাপেই এই দিনটা বাড়ি থেকে বেরোতে পারেন না। বলেছেন, ‘এই দিনটায় কাজ না করার জন্য পরিবারের লোকজনই আমায় জোর করে। অগত্যা বাড়ি থাকি।’
আজ অমিতাভের ফেসবুক আর টুইটার পেজও উপচে পড়েছে শুভেচ্ছাবার্তায়। সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ। বাদ যাননি কেউ। ফেসবুকে অমিতাভকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
তাঁর বয়স বেড়েছে। সেই সঙ্গে বয়স বাড়ছে বলিউডের তিন খানেরও। এই বছরই পঞ্চাশ পেরিয়েছেন আমির খান। শাহরুখ আর সালমানও পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই। সাংবাদিকরা অমিতাভকে প্রশ্ন করেছিল এই তিন খানকে নিয়েও। তিনি বলেছেন, ‘ওরা প্রত্যেকেই ভাল কাজ করছে। আমার তো মনে হয় আরও একশো বছর কাজ করা উচিত ওদের।’ এই প্রসঙ্গ টেনেই অমিতাভ জানিয়েছেন, তিনি নিজেও কাজ থামাতে চান না। কাজ আর পরিবার নিয়েই বাকি জীবনটা আনন্দে কাটিয়ে দিতে চান। সূত্র : আনন্দবাজার