তিউনিসিয়ায় গণতান্ত্রিক উত্তরণে সহায়তাকারী নাগরিক সমাজের ৪টি সংগঠন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, নোবেল পুরস্কার তিউনিসিয়ার মানুষের সাহসের প্রতি সম্মান। তিনি বলেন, আজকের পুরস্কার রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ও সন্ত্রাসী হামলার মুখে তিউনিসিয়ার জনগণ যারা একতা, বোঝাপড়া ও সহনশীলতার চেতনা নিয়ে একসঙ্গে গণতান্ত্রিক উত্তরণে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাদের সাহস ও অধ্যাবসায়ের প্রতি সম্মান। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরিও নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ায় তিউনিসিয়ার ৪টি সংগঠনের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে যখন হত্যকান্ড ও রাজপথে বিক্ষোভ তিউনিসিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে কলুষিত করছিল তখন ন্যাশনাল ডায়লগ কোয়ার্টেট দেশটির গণতান্ত্রিক উত্তরণে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিল।
ওবামা বলেন, খুব বেশি বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতায় পরিপূর্ণ ছিল এ অঞ্চল। এর মধ্যে তিউনিসিয়ার লক্ষ্য ছিল উন্নত ভবিষ্যতের পথে উত্তরণ। আর এর জন্য দরকার স্থিতিশীলতা যা সহিংসতা ও বিভক্তির মাধ্যমে নয়, শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব। তিনি বলেন, বিশ্ব তিউনিসিয়ার জনগণকে অবশ্যই সমর্থন করবে। মানবাধিকার ও প্রত্যেক মানুষের মর্যাদা রক্ষার জন্য ঝুঁকি নিয়ে যারা কাজ করছেন বিশ্বের সেইসব সুশীল সমাজের মানুষের পাশে আমরা অবশ্যই থাকবো। ন্যায়বিচার ও শান্তির জন্য এসব অসমাপ্ত কাজ ও এসব নির্ভীক নারী-পুরুষ যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অংশীদার।
প্রসঙ্গত ২০১১ সালে তিউনিসিয়ার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণবিপ্লবের পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার জন্য চার সংগঠনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। শান্তির মুকুটজয়ী নাগরিক সমাজের এ সংগঠনগুলো একত্রে ‘ন্যাশনাল ডায়ালগ কোয়ার্টেট’ নামে পরিচিত। অস্থির ওই সময়ে তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা দেশটিকে সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধের হাত থেকে বাঁচায়। সংগঠন ৪টি হচ্ছে তিউনিসিয়ান জেনারেল লেবার ইউনিয়ন (ইউজিটিটি), তিউনিসিয়ান কনফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি, ট্রেড অ্যান্ড হ্যান্ডিক্রাফটস (ইউটিআইসিএ), তিউনিসিয়ান হিউম্যান রাইটস লিগ (এলটিডিএইচ) ও তিউনিসিয়ান অর্ডার অব লইয়ার্স।