শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষকেরা সমাজের সর্বোচ্চ সম্মানিত ব্যক্তি। সরকার শিক্ষকদের কখনো ছোট করতে চায় না। তাদের দাবি পূরণে তিনি সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
শুক্রবার রাজধানীর আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী চতুর্থ জাতীয় শিক্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষকদের বেতন নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিসভা যে কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছে সেই কমিটি শিগগিরই কাজ শুরু করবে।
শিক্ষকদের মর্যাদার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “আমরা শিক্ষকদের কখনো ছোট করতে চাই না। আমরা শিক্ষা পরিবার শিক্ষকদের সমাজের সর্বোচ্চ সম্মানিত ব্যক্তি মনে করি। কিন্তু সেটা কারও সঙ্গে তুলনা না করে। আমাদের শিক্ষকেরা বিচারপতি তৈরি করছেন, সচিব তৈরি করছেন, বড় বড় অফিসার তৈরি করছেন, গবেষক তৈরি করছেন। এই মর্যাদাটা উপলব্ধি করতে হবে। এটা কাউকে বলে দেওয়ার ব্যাপার না। আপনি কারও সমান হয়ে আপনার ইজ্জত বাড়াবেন কিংবা আপনি অমুক অফিসারের সমান কি সমান না-এইটা আপনার মর্যাদা দিতে পারবে না।”
আন্দোলনের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, অবশ্যই শিক্ষকদের বেতন-ভাতা মর্যাদার প্রশ্নে আপস করা যাবে না। শিক্ষকেরা যে মর্যাদা চান সামাজিকভাবে এ দেশের মানুষ সেটা দিতে রাজি আছে। কিন্তু সেটা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ. এম. এম সফিউল্লাহ। ‘একুশ শতকের শিক্ষক’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমেরিটাস মনজুর আহমেদ।
শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দুই দিনের এ সম্মেলনে প্রায় ৩০০ শিক্ষক অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের বিভিন্ন পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষকদের ভূমিকা, শিক্ষণ পদ্ধতি অনুশীলনসহ শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কিত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।