পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিবিয়ার চলমান সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশীদের ওই দেশ ভ্রমণ না করতে আবারো সতর্ক করেছে। আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বাংলাদেশীদের এ ব্যাপারে সতর্ক করে। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশী সাধারণ নাগরিকদের ভ্রমণের পাশাপাশি লিবিয়ায় কোনো শ্রমিককে না যাওয়ার জন্যও কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিবিয়া পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তাছাড়া সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের যুদ্ধ এলাকা, লোকজনের ভিড়, বিক্ষোভ বা মিছিল এড়িয়ে চলে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, লিবিয়ার চলমান পরিস্থতি বিবেচনা করে সেখান থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আর তিউনিসিয়ায় একটি তথ্য কেন্দ্রও খোলা হয়েছে। লিবিয়ার বিষয়ে কোনো প্রয়োজনে কন্স্যুলার এএসএম আশরাফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সেখানের টেলিফোন নম্বর +২১৬৭৫৭০৩০০ ও মোবাইল নম্বর +২১৬২১৯২৪২২৯।
অন্যদিকে লিবিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ার কারণে বাংলাদেশ সরকার থেকেই এক বছর আগেই সেদেশে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেও অনেক শ্রমিক লিবিয়া গেছেন। আবার লিবিয়ায় ওসব শ্রমিক কোনো সমস্যায় পড়লে উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হয়। সে কারণে সরকার থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সে নিষেধাজ্ঞা অনেকেই উপেক্ষা করে সে দেশে যাচ্ছিলেন। সে কারণে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য লিবিয়া সরকারকেই অনুরোধ করা হয়। এরপর চলতি বছর ১৬ মে লিবিয়ার সরকার থেকে বাংলাদেশী নাগরিকদের সেদেশে যেতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরুর পর লিবিয়া থেকে প্রায় ৩৬ হাজার বাংলাদেশীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তবে অনেকেই সঙ্কটের মধ্যেও দেশটিতে থেকে যান। পরবর্তীতে দেশটির অচলাবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো শুরু হয়। তারপর বাংলাদেশ থেকে কিছু কিছু শ্রমিক লিবিয়া গেলেও দেশটির পরিস্থিতি গতবছর থেকে আরো বেশি অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। এ প্রেক্ষিতে গত বছর ৩১ মে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম লিবিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।