পাকিস্তানের কাছে আটটি ডুবোজাহাজ বিক্রি করবে চিন। এর মধ্যে চারটি পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচিতে তৈরি করা হবে। এ সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাক প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন বিষয়কমন্ত্রী রানা তানভির হোসেন। রাজধানী ইসলামাবাদে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি উন্নয়ন সংস্থা বা ডিইপিও’র প্রদর্শনী কেন্দ্রের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি। (যুদ্ধবাজ পাকিস্তানের বিমানবাহী রণতরীই নেই)
তিনি আরও জানান, চিন এবং পাকিস্তানে একসঙ্গে এই ডুবোজাহাজ নির্মাণের কাজ শুরু করবে। চিন ডুবোজাহাজ নির্মাণ প্রযুক্তি পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করবে বলেও জানান তিনি। অবশ্য চিনের কাছ থেকে কী ধরণের ডুবোজাহাজ কেনা হবে সে বিষয়ে কিছু বলেন নিই মন্ত্রী। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ইউয়ান শ্রেণির টাইপ-০৪১ ডুবোজাহাজ কিনতে পারে ইসমালাবাদ। জাহাজগুলি ডিজেল ও বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। এই আট ডুবোজাহাজ কেনার কাজ মিটে গেলে পাক নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরো বাড়বে। এর আগে ফ্রান্স এবং জার্মানির কাছ থেকে ডুবোজাহাজ কেনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। সত্যি বলতে, পাকিস্তানের ভাঁড়ারে কোনও বিমানবাহী রণতরীই নেই। (ভারতের দুরন্ত-দুর্র্ধষ ওঘঝ কড়পযর)
বিশেষজ্ঞ মহলের পর্যালোচনা, মূলত তিনটি কারণে এয়ারক্রাফট কেরিয়ার বা বিমানবাহী রণপোত নির্মাণ করতে বা কিনতে পারেনি পাকিস্তান। সব থেকে বড় কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের কোনও এয়ারক্রাফট কেরিয়ার না থাকার মূলে সেদেশের অনুদান-নির্ভর অর্থনীতি। বিশ্বব্যাংক ও রাষ্ট্রসংঘের ২০১৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ২৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। সেখানে ভারতের জিডিপি ২.২ ট্রিলিয়ন ডলার (মার্কিন হিসাবে ১ ট্রিলিয়ন = ১০০০ কোটি, ব্রিটিশ হিসাবে ১০০ কোটি কোটি)। যা পাকিস্তানের থেকে অন্তত নয় গুণ বেশি। একদিকে বেহাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। অন্যদিকে সেইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফ্রাঙ্কেনস্টাইন মার্কা বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের লাগাতার হামলা। অর্থনৈতিক ভিত্তি না থাকার পাশাপাশি তৈরি হয়নি অশিক্ষার ও অনগ্রসরতার সঙ্গে লড়াই করার উপযুক্ত পরিকাঠামোও। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জনসংখ্যার হার। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৪.৩ শতাংশ, পশ্চাদগামিতায় যা বর্তমানে আফগানিস্তানেরও পরে। সেদেশেরই অর্থনীতিকদের আশঙ্কা, ২০১৬ সালের মধ্যে জিডিপি-র হারে পৃথিবীর অন্যান্য পিছনের সারির দেশের মধ্যে সব থেকে তলানিতে পৌঁছবে পাকিস্তান।