পদ্মা সেতুর অর্থায়ন: প্রস্তাব পেলে বিবেচনা করবে চীন

পদ্মা সেতুর অর্থায়ন: প্রস্তাব পেলে বিবেচনা করবে চীন

পদ্মা সেতুর অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিলে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে চীন। তবে চীন চায়, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সোমবার বিকেলে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জুন এ অভিমত তুলে ধরেন।

এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, খন্দকার মনিরুল আলমসহ জাতীয় প্রেস ক্লাবের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত লি জুন বলেন, ‘পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের একটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি, তার অবসান ঘটবে এবং বিশ্বব্যাংক সেক্ষেত্রে আবারো এগিয়ে আসবে। তবে চীনের অবস্থান স্পষ্ট। সামর্থ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের যে কোনো অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য চীন প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে চীন সরকার তা বিবেচনা করবে।’

তিনি বলেন, ‘অবকাঠামোসহ জ্বালানি সংকট সমাধান হলে চীনের উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ একটি আদর্শস্থান হতে পারে। চীন দু’দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়। এছাড়া বাংলাদেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, সড়ক যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে চীন পাশে থাকবে। তবে তা হবে সমতা ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের ভিত্তিতে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। বাংলাদেশ রফতানিতে আগের চেয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। গত বছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি করেছে ১৭ শতাংশ। চীন চায়, চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশ করুক। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা দেওয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য পর্যায়ক্রমে বাড়ছে। এতে দু’দেশই উপকৃত হচ্ছে।

নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক উন্নয়নে আমি কাজ করবো। যা দু’দেশের মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শান্তিকে গুরুত্ব দেই। আর সেক্ষেত্রে চীন ও বাংলাদেশ এক সঙ্গে কাজ করবে।’

নব নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে কোন বিষয়কে গুরুত্ব দেবেন এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, দু’দেশের স্বার্থকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবো। চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে এই কূটনীতিক বলেন, ‘কোনো দেশের সঙ্গে সুসম্পর্কে কোনো দেশের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে না। আমরা সুসম্পর্ক রেখে চলতে চাই।’

বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরে চীনা কোম্পানি বিনিয়োগ করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চীন সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিচ্ছে। অনেকে আগ্রহ দেখিয়েছে।

অর্থ বাণিজ্য