যুক্তরাজ্য: ইন্টারনেটভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি

যুক্তরাজ্য: ইন্টারনেটভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি

বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ অবদান রাখে ইন্টারনেট। বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর জোট জি-২০-এর সদস্যদের মধ্যে যুক্তরাজ্যে এটা সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার পরিচালিত জরিপে এই তথ্য বেরিয়ে আসে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান বোস্টন কাউন্সিলিং গ্রুপ ( বিসিজি) জানায়, ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যে ইন্টারনেট অর্থনীতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১০০ কোটি পাউন্ডে, মাথাপিছু দুই হাজার পাউন্ড।

যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে অন্যান্য প্রধান খাত যেমন, স্বাস্থ্য, নির্মাণশিল্প এমনকি শিক্ষাখাতের চেয়েও ইন্টারনেটভিত্তিক অর্থনীতির অংশগ্রহণ অনেক বেশি।

‍এছাড়া বিশ্বের অন্য সব প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো থেকে যুক্তরাজ্যে অনলাইনভিত্তিক খুচরা বিক্রির পরিমাণও অনেক বেশি।

২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের মোট খুচরা কেনাবেচার প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়েছে বলে জানিয়েছে বিসিজি। ২০১৬ সাল নাগাদ এই হার বেড়ে ২৩ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে বলে অনুমান করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

সামগ্রিকভাবে যুক্তরাজ্যের ইন্টারনেটভিত্তিক অর্থনীতি বিশ্বের অপরাপর রাষ্ট্রগুলোর থেকে অনেক দ্রুত বর্ধনশীল বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। গবেষকদের ধারণা, আগামী চার বছর যুক্তরাজ্যে ইন্টারনেটভিত্তিক অর্থনীতির বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হবে কমপক্ষে ১১ শতাংশ। ফলে ২০১৬ সাল নাগাদ যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে এর অংশগ্রহণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ২২ হাজার ১০০ কোটি পাউন্ডে।

অথচ এই সময়ের মধ্যে ইন্টারনেটভিত্তিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রে হবে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং হবে চীনে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ।

ইন্টারনেটভিত্তিক অর্থনীতির এই প্রসার নিঃসন্দেহে দ্রুত বর্ধনশীল এই খাতের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর।

সম্প্রতি পরিচালিত এই গবেষণায় যুক্তরাজ্যের জনগণের ইন্টারনেট আসক্তি বেড়ে যাওয়া প্রবণতা সম্বন্ধেও মজার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের এক-চতুর্থাংশ জানিয়েছেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ ঠিক রাখতে প্রয়োজনে তারা এক বছর সঙ্গীর সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ রাখবেন।

এছাড়াও অংশগ্রহণকারীদের ৬৫ শতাংশ ব্যক্তি অ্যালকোহল, ৭৬ শতাংশ চকোলেট এবং ৭৮ শতাংশ কফিকে বিসর্জন দিতে রাজি বলেও জরিপের ফলাফলে দেখা যায়।

অর্থ বাণিজ্য