শ্যামল প্রান্তরে দাঁড়িয়ে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার ফুরসত পর্যন্ত মেলেনি। মাঠের ভেতরে যে ভাবে সবুজ বিপ্লব হয়েছে তাতে করে অন্যদিকে চোখ ফেরানোর সময়ও ছিলো না। বেলা ১১টার আগেই খেলা শেষ। জাপানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের বাছাই প্রতিযোগিতার শীর্ষ ছয়ে যাওয়ার যে স্বপ্ন দেখছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা, সে পথে একধাপ এগুলো। পাকিস্তানের কাছে হারের পর জাপানের বিপক্ষ ম্যাচ নিয়েও অনেকে ভয়ে ভয়ে ছিলেন। খেলা শুরুর পৌঁনে দুই ঘন্টার মধ্যেই সব শঙ্কা মিথ্যে প্রমাণ করে দেবে বাংলাদেশ দল, কে জানতো।
বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা অবশ্য আগে থেকেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি ছিলেন। তবে খেলাটা এত সহজ হবে তা ভাবেননি। ৩৮ রানে জাপানের ইনিংস গুড়িয়ে দিয়েছেন দু’জন বোলার, শুকতারা রহমান এবং সালমা খাতুন। দু’জনেই পাঁচ উইকেট করে নিয়েছেন। ডানহাতি অফ স্পিনার শুকতারা ৭.৩ ওভারে ৯ রান দিয়েছেন। পেসার সালমা ৯ ওভারে ৬ মেডেনসহ ৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন।
বিকেএসপির দুই নম্বর মাঠের উইকেট যে বোলিং বন্ধব ছিলো, তা নয়। নিখাদ ব্যাটিং উইকেটেও খেলতে পারেনি অতিথি খেলোয়াড়রা। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন একজন ব্যাটার, ইয়ামামটো ৪২ বল খেলে ১২ রান করেছেন।
জাপানের এই দলটিই ২০১০ সালের নভেম্বরে গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫৭ রান করেছিলো। একবছর পরে ওয়ানডে ম্যাচে আগের চেয়ে একটু বেশি প্রতিদ্বন্দ্বীতা আশা করা স্বাভাবিক। কিন্তু স্বাগতিক দলের বোলিংয়ে তোপটা এত বেশি ছিলো যে মানবাঁচানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
৩৯ রানের লক্ষ্য পূরণ করতে কোন উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ দল। আয়শা আক্তার ১৩ এবং শুকতারার ১৬ রানে মাত্র ৪.৪ ওভারে জয় নিশ্চিত করে।
এর আগে কোন দলকে ৫০ রানের নিচে অলআউট করেনি বাংলাদেশ দল। সেদিক থেকে রেকর্ড জয়ও বলা যায়।
খেলাটা দুই বোলার কেন্দ্রিক হওয়ায় ম্যাচ সেরার পুরস্কারও একজন বোলারের হাতে উঠবে জানাই ছিলো। পুরস্কারটা পেলেন অধিনায়ক সালমা খাতুন।
দুই ম্যাচ খেলে দুই পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলবে বিকেএসপিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। গ্রুপের তৃতীয় সেরা দল আয়ারল্যান্ড। প্রতিযোগিতায় যে ছয় দলের ওয়ানডে মর্যাদা আছে তাদের মধ্যে আয়ারল্যান্ড একটি।