পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘দেশের আয়তন বেড়েছে, ভবিষ্যতে আরো বাড়বে।’
রোববার সংসদে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা মামলায় দেশের বিজয় নিয়ে ৩শ’ বিধিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা বলেন।
এ সময় টেবিল চাপড়ে এমপিরা তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওই রায় বাধ্যতামূলক এবং এতে আপিলের কোনো সুযোগ নেই। রায়ে সমতার ভিত্তিতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। মিয়ানমার যেসব দাবি তুলে ধরে ট্রাইব্যুনাল তা এখতিয়ারের বাইরে বলে প্রত্যাখ্যান করে।’
তিনি বলেন, ‘এটি দেশের জন্য অবিশ্বাস্য একটি প্রাপ্তি। সবমিলিয়ে দেশের জন্য ঐতিহাসিক। এর ফলে এখন আমরা স্বাধীনভাবে গভীর সমুদ্রের তলদেশের মৎস্য সম্পদ ও খনিজ সম্পদ আহরণ করতে পারবো। এজন্য দেশের জনগণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ট্রাইব্যুনাল ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় তিনি তাদের নাম পড়ে শোনান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমি মামলার প্রাথমিক শুনানির শুরুতে ট্রাইব্যুনালে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরি।’
এরপর তিনি ইংরেজিতে দেয়া ওই বক্তব্য পড়ে শোনান।
‘সরকার তিন বছরে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর মধ্যে এটি যুগান্তকারী। কোথাও কোনো জায়গায় নতজানু না হয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখ এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ যোগ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত কোথা থেকে এসেছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সংবিধানকে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগিয়ে দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রথমবার সংসদে এসেছি।’ যে সংসদ আমরা দেখতে চাই আজ তার বিপরীত চিত্র দেখলাম। এতে মানুষকে হতাশ ও বেদনাদায়ক করার পাশাপাশি তাদেরকে রাজনীতিবিমুখ করে দেবে। এমনকি যে ভাষা নিষিদ্ধপল্লীতেও চলে না। আজ এখানে তা ব্যবহার করা হলো।`
`তবে এ কথার মাধ্যমে নিষিদ্ধপল্লীর বাসিন্দাদের অবমাননা করতে চাই না। আজ সংসদে ওই ধরনের ভাষা ব্যবহার হয়েছে অবলীলাক্রমে। হতাশা ও বেদনায় হৃদয় আরো ব্যথিত হয় যখন দেখি বিরোধীদলীয় নেত্রী টেবিল চাপড়ে ওই ধরনের বক্তব্য উৎসাহিত করেন।’
তিনি বলেন, `আজ একটি সুসংবাদ জানাতে দাঁড়িয়েছে। ১৬ কোটি মানুষ এ সংবাদ শুনতে চায়।` এ সময় তিনি আবেগআপ্লুত হন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, `দূষিত ও কলুষিত ভাষা যারা এ সংসদে ব্যবহার করেছেন এটা ধ্বংসের আলামত। জানি না বিরোধীদল কোন খেলায় মেতেছে। জাতি এ ধ্বংস মেনে নেবে না। `
এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমুদ্রসীমা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে মামলার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।