সীমান্ত এলাকায় রাতের বেলা লোকজনের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ভারতীয় সিদ্ধান্ত মানবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সীমান্তে অপরাধ এবং সহিংসতা বন্ধে বরং স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোমবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হুসাইন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা কারফিউ জারিতে বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি, সীমান্ত এলাকার মানুষ তাদের নিজ নিজ দেশে স্বাধীনভাবে বিচরণ করবে, এটা তাদের অধিকার। কারফিউ একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা এবং এটা কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।’
নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি’র মধ্যকার চারদিনের বৈঠকের শেষ দিন সোমবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক। সংবাদ সম্মেলনে মেজর আনোয়ারের সঙ্গে ছিলেন বিএসএফ মহাপরিচালক ইউকে বনসাল।
এসময় জেনারেল আনোয়ার আরো বলেন, ‘সীমান্তে সাধারণ নাগরিক হত্যার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা মনে করি, সীমান্তে নিরস্ত্র কাউকে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি জানান, বিজিবি ও বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় ২৩টি অরক্ষিত অঞ্চল সনাক্ত করেছে। এসব এলাকায় যৌথ মহড়া এবং সীমান্তে অপরাধ দমনে ও নিরস্ত্র মানুষ হত্যা বন্ধে পাস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে কথা হয়েছে।
এদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক বনবসাল বলেছেন, সীমান্তের দু’ই পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপারে সহযোগিতা করতে বিএসএফ ও বিজিবি সম্মত হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সীমান্তে বিএসএফ সর্বোচ্চ ধৈর্য্য দেখাচ্ছে এবং জওয়ানদের হালকা অস্ত্রে সজ্জিত করা হয়েছে যাতে সীমান্তে গুলির ঘটনা ন্যূনতম মাত্রায় নামিয়ে আনা যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার রোধ করতে সীমান্ত এলাকায় রাতের বেলা কারফিউ জারির কথা জানায় ভারত। সেই সঙ্গে বাংলাদেশকেও সীমান্তে রাতের বেলা বাংলাদেশি নাগরিকদের চলাচল নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানায় তারা।