বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে দেশ স্বাধীন হতো না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান একে আজাদ চৌধুরী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষে নিউইয়র্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সারাজীবন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর ত্যাগেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে দেশ স্বাধীন হত না।’
১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও কনস্যুলেট অফিস যৌথভাবে মিশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
প্রথম প্রেস সচিব মামুন-অর-রশিদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের দৃঢ় শপথ গ্রহণই হবে তার জন্মদিনের প্রতি সত্যিকার শ্রদ্ধা জানানো। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম কিনা সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দেশাত্মবোধের মানসচিত্তে নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠলে দেশ সোনার মানুষে ভরে উঠবে এবং সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ সোনার বাংলা হয়ে উঠবে।’
ড. একে আব্দুল মোমেন আরো বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ার খোকা শৈশব-কৈশোর থেকেই নিজেকে গরীব দুঃখী মানুষের বন্ধু হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি জনগণের হৃদস্পন্দন বুঝতেন। তার ব্যক্তিত্ব ছিল হিমালয়ের মতো যা ফিদেল ক্যাস্ট্রো অকপটে বলেছেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, শেখ মুজিবকে দেখেছি।’ বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের মানসিকতা এবং জনগণের প্রতি তার দৃঢ় প্রত্যয় যুগযুগান্তরের দর্শন হিসাবে আমাদের সামনে কাজ করবে। তার দর্শনের পথই আমাদের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে আলোচনা ছাড়াও শিশুদের চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কনসাল জেনারেল শাব্বির আহম্মদ চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। গোটা অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিকল্পনায় ছিলেন মিশনের মিনিস্টার (কালচারাল) অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান।