বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের আগামী পাঁচ বছরের কার্যক্রমের রূপরেখার কথা মাথায় রেখে একটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করছে। বিশ্বব্যাংক কর্তৃক প্রণীত এ কৌশলপত্রে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আন্তঃসংযোগের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন বাংলাদেশ সফরকালে এ কৌশলপত্র চূড়ান্ত করার বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে যে, পাঁচ বছর মেয়াদি কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের (সিপিএফ) খসড়ায় সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে চারটি খাতকে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সংযোগ খাতকে। ২য় স্থানে আছে মানবসম্পদ উন্নয়ন, ৩য় স্থানে রয়েছে নগর উন্নয়ন এবং সবশেষে আছে ডেল্টা প্ল্যান বা বদ্বীপ পরিকল্পনা। এ কৌশলপত্রের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে পাঁচ বছরে ৬০০ থেকে ৮০০ কোটি ডলার। আগামী বছর জানুয়ারি মাস থেকে এ কৌশলপত্র কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে এবং এটির কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের দিকে।
এ কৌশলপত্র সম্পর্কে ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যেসব বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়েই কৌশলপত্রটি প্রণয়ন করা হচ্ছে। তবে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎ খাত। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব পরিবেশগত দুর্যোগ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, তার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা দেয়া হবে।