রাশিয়ার প্রতিরক্ষা দফতর বলেছে, সে দেশের জঙ্গি বিমান সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট বা আইএস নামক সংগঠনের অবস্থানের উপর হামলা চালিয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গে লাভরভ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
লাভরভ বলেন, আইএস এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছে তাদের মধ্যে আরো সহযোগিতার লক্ষ্যে তিনি পরিষদে একটি খসরা প্রস্তাব নিয়ে আসবেন। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, রুশ হামলা আইএস অবস্থানের উপর চালানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।
এর আগে, রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ মস্কোর সেনাবাহিনী দেশের বাইরে মোতায়েনের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট পুতিনের অনুরোধ সর্বসম্মত্তিক্রমে অনুমোদন করে। এই সিদ্ধান্তের ফলে সিরিয়াতে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিমান হামলা করার পথ খুলে যায়। তবে ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র সার্গে ইভানভ সিরিয়াতে স্থলভাগে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি নাকচ করেছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনের স্টাফ প্রধান সার্গে ইভানভ সাংবাদিকদের বলেন সিরিয়ার সংকটের সঙ্গে রাশিয়া নিজেকে জড়াচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে তার আঞ্চলিক স্বার্থের জন্য নয়, বরং রাশিয়ার জাতীয় স্বার্থে।
তিনি বলেন, সে কারণেই সিরিয়াতে রুশ সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হবে না।
সিরিয়ার অভিযানে শুধুমাত্র বিমান বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে তিনি জানান। পুতিন বলেছেন যে স্থল বাহিনীর কোনো ভূমিকা এই অভিযানে থাকবে না।
এই অভিযানের সামরিক লক্ষ্য হচ্ছে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়ার সরকারকে বিমান বাহিনী দিয়ে সাহায্য করা।
তিনি বলেন, সিরিয়ার সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক সাহায্যের অনুরোধ আসার পরই রাশিয়া এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই রুশ প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘে ভাষণ দেয়ার সময় আইএসের বিরুদ্ধে বড় ধরনের জোট তৈরি করার তাগিদ দেন।
সিরিয়ার যুদ্ধের পুরো সময়টিতে রাশিয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সিরিয়ার সরকারকে সাহায্য করেছে।
সম্প্রতি সিরিয়া থেকে পাওয়া স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে ভূমধ্যসাগরে সিরিয়ার বন্দর নগরী লাতাকিয়ার কাছেই এক বিমান ঘাঁটিতে রাশিয়ার জঙ্গি বিমানগুলো এসে জড়ো হচ্ছে।