পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে সরকার কাজ করছে জানিয়ে তাদের ক্লাস ও ভর্তি পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সমন্বয় সভার শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন আছে। সমাধানের জন্য সরকার কাজ করছে। কমিটি পুর্নগঠিত হয়েছে। শিক্ষকদের অসন্তোষ বা উত্তেজনা থাকার কোন কারণ নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের স্বার্থ দেখছে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের অসন্তোষ বা উত্তেজনা থাকার কোনো কারণ নেই। শিক্ষকরা বলছেন কাজ করবেন না, ক্লাস-পরীক্ষা নেবেন না, এটা যুক্তিযুক্ত হবে না। নিয়মিত ক্লাস কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন, ভর্তি পরীক্ষা চালিয়ে যাবেন- অনুরোধ জানাই।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে আন্দোলন ও শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দায়ী করা প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, বড় বড় লোক বড় বড় জায়গা থেকে আমাদের, এমনকি আমার নাম বলছে। তারা জানেনই না এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। এটার জন্য আমাদের দায়ী করার কোন কারণ নেই। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সপ্তম বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেকশনগ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপকরা সচিবের সমান গ্রেড-১ স্কেলে বেতন পেতেন। জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা গ্রেড-২ এবং অধ্যাপকরা গ্রেড-৩ এ বেতন পেতেন। অষ্টম বেতন কাঠামোতে ‘সিলেকশনগ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপক’ পদটি বিলুপ্ত করে সিলেকশনগ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের সচিবদের সমান গ্রেড-১ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জ্যেষ্ঠ সচিবদের জন্য নতুন একটি বিশেষ গ্রেড তৈরি করা হয়েছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন, আমলারা নিজেদের জন্য বিশেষ গ্রেড তৈরি করলেও শিক্ষকদের সিলেকশনগ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপক পদটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ফলে অধ্যাপকরা আমলাদের নিচের স্কেলে থাকছেন।
বেতন বৈষম্য দূর, মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া ও স্বতন্ত্র বেতন-স্কেলসহ চার দফা দাবিতে দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। অন্যদিকে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহালের দাবিতে আন্দোলন করছেন সরকারি কলেজ ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
এছাড়া বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সিলেকশনডগ্রেড ও টাইমস্কেল বহালের দাবি জানিয়ে আসছেন।