লা লিগার টানা ৩ ম্যাচে (গ্রানাডা, বিলবাও এবং মালাগা) গোলের দেখা না পাওয়া রোনালদো সুইডিশ ক্লাব মালমোর বিপক্ষে গোলের দেখা পেলেন। তার ম্যাজিকে ভর করে মালমোর ঘরের মাঠে বিজয়োল্লাস করেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। রোনালদোর জোড়া গোলে মালমোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
এই ম্যাচটি আর দশটি ম্যাচের চেয়ে তার কাছে ভিন্ন মর্যাদা পাবে। কারণ, এই ম্যাচে জোড়া গোল করার মধ্য দিয়ে রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা রাউল গঞ্জালেসকে ছুঁয়ে ফেলেছেন। ক্যারিয়ারে ৫ শতাধিক গোল করার রেকর্ড গড়েছেন।
শক্তিমত্তায় সুইডেনের ক্লাব মালমোর চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে রিয়াল। তবে সেটার প্রমাণ পেতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায় উপস্থিত ২০ হাজার ৫০০ দর্শকের। মালমোর বিপক্ষে গোলের দেখা পেতে ২৯ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় রাফায়েল বেনিতেজের শিষ্যদেরকে। ম্যাচের ২৯ মিনিটে ইসকোর বাড়ানো বল ডি বক্সের সামনে দাঁড়ানো রোনালদো পেয়ে যান। মালমোর গোলরক্ষক জোহান উইল্যান্ড বেশ খানিকটা সামনে এগিয়ে আসেন। কিন্তু অভিজ্ঞ রোনালদোকে তাকে বোকা বানাতে ভুল করেননি (১-০)। এটা ছিল রোনালদোর ক্যারিয়ারের ৫০০তম গোল। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে ৮১তম।
এই গোলের পর দ্বিতীয় গোলের দেখা পেতে রিয়ালকে অপেক্ষা করতে হয় ৬১ মিনিট। ম্যাচের ৯০ মিনিটে লুকাস ভাসকোয়েজের বাড়িয়ে দেওয়া বল গোলপোস্টের সামনে থাকা রোনালদো পেয়ে যান। আলতো করে পা ছুঁইয়ে বলটি জালে জড়ান তিনি। এটা ছিল রোনালদোর ক্যারিয়ারের ৫০১তম ও চ্যাম্পিয়নস লিগের ৮২তম গোর। শেষ পর্যন্ত পর্তুগীজ তারকার জোড়া গোলে ভর করে ২-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় রিয়ালের।
এ জয়ের ফলে ২ ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে চ্যাম্পিয়নস লিগের সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ী ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।
‘এ’ গ্রুপের অপর ম্যাচে শাখতার দনেৎস্কোকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। পিএসজির হয়ে ৭ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন অভিষিক্ত সার্জি আউরিয়ের। ২৩ মিনিটে করা ডেভিড লুইজের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফরাসি ক্লাবটি। আর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে শাখতারের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় দার্জিওর আত্মঘাতি গোলে পিএসজির জয় নিশ্চিত হয় ৩-০ গোলে। দুই ম্যাচ থেকে ৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই।