পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বর্তমানে আলোচিত রাজনীতিক ইমরান খানকে একহাত নিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিতর্কিত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি। গত শনিবার তিনি ইমরানকে লক্ষ্য করে বলেছেন, এই সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক তার ‘বাউন্সারে’র মুখোমুখি হতে ‘ভয়’ পেয়েছেন।
এর দু’দিন আগেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে সালমান রুশদিকে আমন্ত্রণ জানানোর কারণে ইমরান খান আয়োজকদের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছেন।
ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ থেকে এক বিবৃতে জানানো হয়, মুসলিমদের অনুভূতিতে যে রুশদি অপরিমেয় আঘাত দিয়েছেন সেই রুশদি যে অনুষ্ঠানে থাকবেন সেখানে ইমরান উপস্থিত হওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেন না।
জবাবে গত শনিবার রুশদি বলেছেন, ‘ইমরান আমার বাউন্সারের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে। ইমরান জানেন আমার সঙ্গে তাকে একই মঞ্চে উঠতে হবে।’
রাজধানী নয়াদিল্লিতে একটি ভারতীয় দৈনিকে এ মন্তব্য করেন রুশদি।
গত জানুয়ারিতে জয়পুরে সাহিত্য উৎসবে উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও জনসাধারণের আপত্তির কারণে রুশদি সেখানে যোগ দিতে পারেননি। এখন ইমরান খানের মতো এক কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবং বর্তমানের পাকিস্তানে তুখোড় রাজনীতিক ইমরান খান তার বিরুদ্ধে আপত্তি তুললেন।
তবে মুসলিম মনে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে রুশদি বলেছেন, ‘ইমরান বলেছেন আমি মুসলমানদের মনে আঘাত দিয়েছি। কিন্তু বাস্তবে পাকিস্তান ও ভারতের মতো দেশের সন্ত্রাসীরাই মুসলিমদের মনে অপরিমেয় আঘাত দিয়েছে। ইমরান চান আমরা লস্করের সঙ্গে কথা বলি।’
এদিকে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ রুশদির এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বলেছে, ওই লেখক সারাবিশ্বের মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। ইমরান শুধু তার সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করার ব্যাপারে নিজের বিরক্তির কথা জানিয়েছেন।
ইমরান খানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমার ধারণা রুশদি ‘বিরক্তি’ আর ‘ভয়’ গুলিয়ে ফেলেছেন। তিনি বুঝতে পারেন না, তার লেখা বিশ্বকে আঘাত করেছে। তাকে কেউ ভয় পায় না। তার বোঝা উচিত, তিনি বিশ্ব মুসলিমদের মনে কতটা আঘাত দিয়েছেন।’
সালমান রুশদির লেখা বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশ হওয়ার পর মুসলিম বিশ্বে আলোচনার ঝড় ওঠে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বইটি নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয়। এই বই এখনো ভারত, পাকিস্তানসহ অনেক মুসলিম রাষ্ট্রে নিষিদ্ধ।