মিনায় ১৮ বাংলাদেশী নিহত, নিখোঁজ ৯০

মিনায় ১৮ বাংলাদেশী নিহত, নিখোঁজ ৯০

সৌদি আরবের মিনায় পদদলনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৮ বাংলাদেশী নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে aysgdasdasdহজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশ (হাব)। এ ছাড়া ৯০ বাংলাদেশী নিখোঁজ রয়েছেন বলে হাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। হাব সভাপতি ইব্রাহিম বাহার সৌদি আরবের বাংলাদেশী হজ মিশনের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য দিয়েছেন।

এদিকে গতকাল পর্যন্ত সরকারি সূত্র থেকে হতাহতের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য জানানো হয়নি। এদিকে, সৌদি কর্তৃপক্ষ নিহত আরও কিছু ব্যক্তির ছবি বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। এসব ছবির মধ্যে কেউ বাংলাদেশী আছেন কি-না তা পরীক্ষা চলছে।

জেদ্দার বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শহিদুল করিমের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি। বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে নিশ্চিত করেছেন এখনও ৯৮ বাংলাদেশী হজযাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। দূতাবাস কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, তাদের মেডিক্যাল টিম বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে নিখোঁজ হাজীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছেন।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়, হাসপাতাল, শবাগারগুলোতে কূটনীতিকরা ছাড়াও রয়েছেন সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা স্থানীয় পরিবারের সদস্যদের ভিড়।

পাকিস্তানি হজ মিশনের প্রতিনিধিরা মৃতদের চেহারার ছবি তুলে তাদের মক্কা কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তানি কনসাল জেনারেল আফতাব খোখের বলেছেন, নিখোঁজ হজযাত্রী মানেই যে তিনি নিহত তা নয়। হজের সময় নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সৌদি কর্তৃপক্ষ মুয়াইসাম শবাগারে ১১০০ মৃত হজযাত্রীর ছবি টাঙিয়ে দিয়েছে। শীর্ষ এক সৌদি কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ১১০০ মৃত ব্যক্তির যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তাদের সবার মৃত্যু মিনায় পদদলনের ঘটনায় হয়েছে তা নয়। তাদের অনেকেই হিটস্ট্রোক করে বা অন্যান্য স্বাভাবিক কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পদদলনের ঘটনায় আনুষ্ঠানিক নিহতের সংখ্যা বলা হয়েছে ৭৬৯। নিহতদের ছবিগুলো তোলা হয়েছে দুদিক থেকে। একটি চেহারার সামনে থেকে। আরেকটি পাশ থেকে। এসব ছবির বেশির ভাগই আফ্রিকার হজযাত্রীদের বলে প্রতীয়মান হয়।

ছবি প্রকাশ ছাড়াও সৌদি কর্তৃপক্ষ মৃত হজযাত্রীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে। সৌদি আরবে প্রবেশের সময় হজযাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট তথ্যের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হবে। তবে এসব তথ্যসংক্রান্ত বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে আরব নিউজের খবরে বলা হয়, মুয়াইসাম শবাগারে আরও হজযাত্রীর ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে, গুরুতর আহত হজযাত্রীরা জেদ্দা ও তায়েফের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত এসব হজযাত্রীর কাছে কোcbf পরিচয়পত্র না থাকায় তাদের নাম ও জাতীয়তা নিশ্চিত করতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলো। সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা পাসপোর্ট বিভাগের কেন্দ্রীয় ডাটাবেজের সঙ্গে কোন ফিঙ্গারপ্রিন্টগুলো মিলেছে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই প্রকাশ করবে। তার আগ পর্যন্ত উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের।

পদদলনে নিহত হজযাত্রীদের দাফন প্রস্তুতি মক্কার ৬ কবরস্থানে: মিনায় পদদলনে নিহত হজযাত্রীদের মধ্যে কিছু মরদেহ মক্কার ৬টি কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মক্কা সচিবালয়ের মিডিয়া পরিচালক ওসামা জয়তুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়, কবরস্থানগুলো হলো- মালা সেমেটারি, আল আদল সেমেটারি, আল শারিয়া সেমেটারি, আল হারাম মার্টিস সেমেটারি, আল রবওয়ে সেমেটারি এবং আরাফাত সেমেটারি। নিহত হজযাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের অনুমতি সাপেক্ষে দাফনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর যেসব নিহতের পরিবার তাদের প্রিয়জনদের দাফন নিজ দেশে চান তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

আহত হজযাত্রীদের রক্তদান করবেন ৭০০ ফিলিস্তিনি
মিনায় পদদলনের ঘটনায় আহত হজযাত্রীদের রক্তদানে এগিয়ে এসেছেন ফিলিস্তিনের ৭০০ হজযাত্রী। সৌদি বাদশাহর অতিথিদের আতিথেয়তামূলক কার্যক্রমের মহাসচিব আবদুল্লাহ মেদলেজ এ তথ্য জানিয়েছেন।

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মামলা করার আহ্বান ইরাকি এমপির: এদিকে, পবিত্র মক্কা শহরে হাজীদের মৃত্যুর ঘটনায় সৌদি আরবের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলার আহ্বান জানিয়েছেন ইরাকের সংসদ সদস্য সাত্তার ঘানেম। প্রেস টিভির বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস।

সাত্তার ঘানেম সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ তুলে বলেছেন, রিয়াদ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তিনি দাবি করেন, হজ ব্যবস্থাপনায় অপেক্ষাকৃত বেশি উপযুক্ত হলো ৫৭টি ইসলামিক রাষ্ট্রের জোট ওআইসি (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন)। উল্লেখ্য, পদদলনের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন বাগদাদ পুলিশের ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ইসমাইল হামিদ জায়ের।

নিহতদের সম্মানে জাতিসংঘ সম্মেলন সফর ছোট করলেন রুহানি: মিনায় নিহতদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য গতকাল নিউ ইয়র্কে চলমান জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলন থেকে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে নিজ দেশের উদ্দেশে রওনা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। পদদলনে নিহত ইরানিদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। এ খবর দিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা।

বৃহস্পতিবার মিনায় পদদলনে নিহত ৭৬৯ জনের মধ্যে ১৬৯ জন ছিলেন ইরানের নাগরিক। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ৩ শতাধিক ইরানি। রোববার দেশটির শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনি মিনা দুর্ঘটনার জন্য সৌদি আরবের তরফ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানান। এ ছাড়া টানা তিন দিনের মত্যে তেহারনের সৌদি দূতাবাসের বাইরে প্রতিবাদ করেছেন ইরানিরা।

ফেনীর কাশেম ও খালেদার মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন স্বজনরা
ফেনী প্রতিনিধি জানান, সৌদি আরবের মিনায় পদদলনের ঘটনায় নিখোঁজ ফেনীর আবুল কাশেমের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে স্থানীয় আল-ফালাহ ট্রাভেলস। নিহত আবুল কাশেমের বড় মেয়ে নুসরাত জাহান জানান, রোববার রাতে তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আল-ফালাহ ট্রাভেলসের মুয়াল্লিম আবদুল কাদের। এই এজেন্সির ব্যবস্থাপনায় আবুল কাশেম হজ পালন করতে সৌদি আবর গিয়েছিলেন। তিনি খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তার বাড়ি দাগনভূঞা উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে। এদিকে পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের খালেদা বেগম নিহতের বিষয়টি সৌদি আরব থেকে তার স্বামী জয়নাল আবদীন নিশ্চিত করেছেন। ওই ঘটনায় জয়নাল আবদীন নিজেও গুরুত্বর আহত হয়েছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনই হজ করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন।

এর আগে সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের নদনা গ্রামের কামাল উদ্দিন মুন্সী বাড়ির শামছুল হুদার ছেলে নূর নবী মিন্টু, একই উপজেলার সুজাপুর গ্রামের আবদুল হামিদ মিয়া বাড়ির মাস্টার নুরুল হকের স্ত্রী তাহেরা বেগম ও একই গ্রামের আবদুর রব নতুন বাড়ির বেলায়েত হোসেন স্ত্রী নূর জাহানের মৃত্যু নিশ্চিত করেছিলেন তাদের স্বজনরা। এছাড়া সোনাগাজীর চরগনেশ গ্রামের এজহারুল হকের স্ত্রী ফাতেমা আক্তারসহ ০৯৯ নম্বর মোয়ালেম্মের ১৪ জন হাজী নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন নিখোঁজ পরিবারের স্বজনরা। সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের ওবায়দুল হকের ছেলে জসিম উদ্দিন নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনরা দাবি করেছেন।

কসবার জাহেদুল ভূঁইয়ার বাড়িতে শোকের মাতম
কসবা (ব্রা?হ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি জানান, মিনায় পদদলিত হয়ে কসবা উপজেলার জাহেদুল ইসলাম ভূঁইয়া (৪০) নামের আরও একজন হাজী মারা গেছেন। এ নিয়ে কসবা উপজেলার দুই হাজী মারা গেছেন। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খাড়েরা গ্রামের জাহেদুল ইসলাম ভূঁইয়া এ বছর ছোট ভাই খাইরুল ইসলাম ভূঁইয়াকে সঙ্গে নিয়ে হজ পালন করতে সৌদি আরবে যান। গত ২৪শে সেপ্টেম্বর মিনায় পদদলিত হয়ে তিনি মারা গেছেন। একই সঙ্গে হজ করতে যাওয়া ছোট ভাই খাইরুল ইসলাম ভূঁইয়া লাশ শনাক্ত করেন। গত রোববার বাদ আসর জানাজা শেষে সৌদি আরবের মিনায় তার লাশ দাফন করা হয়েছে। নিহত জাহেদুল ইসলাম খাড়েরা গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে। ঢাকার ফকিরাপুলে প্রিন্টিং প্রেসের ব্যবসা করতেন। ঢাকার রাজারবাগ এলাকায় নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করতেন স্ত্রী শাহনাজ পারভিন এক ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে। জাহেদুলের মৃত্যুর খবরে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

নাসিরনগরের ২ নারী নিহত, নিখোঁজ ৪
নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি জানান, মিনায় পদদলিত হয়ে নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের বালিখোলা গ্রামের দুই নারী মারা গেছেন বলে তাদের পরিবার নিশ্চিত করেছে। এছাড়া একই পরিবারের তিন সদস্যসহ আরও চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। ওই গ্রামের আরও দুজন সৌদি আরবে চিকিৎসাধীন। নিহতরা হলেন বালিখোলা গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিনের মেয়ে আমেনা বেগম (৫০) ও একই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ইদু মিয়ার স্ত্রী হাসিনা খাতুন (৬০)। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন বালিখোলা গ্রামের সাইজ উদ্দিনের ছেলে হাজী মো. আসাদুল্লাহ (৭৫), তার স্ত্রী সায়েরা বেগম (৬০), ছোট বোন আউলিয়া বেগমের স্বামী একই এলাকার বাসিন্দা মৃত এলাজ উদ্দিনের ছেলে সিদ্দিক মিয়া (৬৫), তার মামা কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের বাঙ্গালপাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে ওমর আলী (৭০)। ঢাকার তোপখানা বিজয়নগর এলাকার হাজরে আসওয়াত হজ অ্যান্ড ট্রাভেল ট্যুরস এজেন্সির মাধ্যমে আসাদুল্লাহ পরিবার ও আত্মীয়স্বজনসহ মোট আটজন হজ পালন করতে ৩০শে আগস্ট সৌদি আরব যান। মিনায় এই আটজন একই সঙ্গে ছিলেন। ঘটনার সময় আসাদুল্লাহর চাচাতো ভাই সায়েব আলী ও চাচী আলিমুন্নেছা কোন রকমে প্রাণে বেঁচে যান।

কুলাউড়ার একই পরিবারের ৩ জনের ভাগ্য অনিশ্চিত
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি জানান, মিনায় দুর্ঘটনার পর কুলাউড়া উপজেলার একই পরিবারের নিখোঁজ ৩ জন নিহত হওয়ার খবর প্রকাশ হলেও তাদের পরিবার বলছে, তারা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। দুর্ঘটনার পর থেকে কুলাউড়া পৌরসভার উত্তরবাজারের বাসিন্দা মহিব উদ্দিন আহমদ (৭০), তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৬৫) ও তাদের ছেলে জালাল উদ্দিন মনি (৩৮) নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। ওই পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউই বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি। দুর্ঘটনার পর থেকে পরিবারের লোকজন উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে পাসপোর্ট নাম্বার ও ছবিসহ সৌদি আরবস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে অবহিত করা হয়েছিল। সোমবার পর্যন্ত দূতাবাস থেকে পরিবারকে কোন কিছু জানানো হয়নি বলে বাসার কেয়ারটেকার জায়েদ জানান।

খুলনার গোলাম কিবরিয়া নিখোঁজ
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে জানান, খুলনার দৌলতপুর থানার দেয়ানা বাউন্ডারি রোড এলাকার বাসিন্দা শেখ গোলাম কিবরিয়া পিপুর (৩৭) সন্ধান মিলছে না। মিনার ঘটনার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। ওই দিন ঘটনার আগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার শেষ যোগাযোগ হয়। তারপর থেকে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

গোলাম কিবরিয়ার চাচা, কেসিসির সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার শেখ রুহুল আমীন জানান, গত ২৩শে সেপ্টেম্বর মিনায় সংঘটিত দুর্ঘটনার পর থেকে গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে পারছেন না। মোবাইল সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ অবস্থায় তারা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।- মানবজমিন

Featured বাংলাদেশ