সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে ২৬ বাংলাদেশী হাজি নিহত হয়েছেন বলে সর্বশেষ জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। তাদের মধ্যে ১৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশন জানিয়েছে, এ ছাড়া এখনো ৫২ বাংলাদেশী হাজি নিখোঁজ রয়েছেন।
সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করে এসব তথ্য জানান দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ। এ সময় কনসাল জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক ও কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
হজ মিশনের মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গোলাম মসিহ মিনায় হতাহত ও নিখোঁজ হাজিদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট ২৬ জন হাজি নিহত হয়েছেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিচয় পাওয়ার পর তিন বাংলাদেশি হাজির মরদেহ তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই ২৬ জন ছাড়া আরো পাঁচজনকে বাংলাদেশী বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ। তবে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া ১৩ জনের নাম বা ছবি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরতে পারেনি মিশন কর্তৃপক্ষ। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী তালিকাটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
দেশে বা মক্কায় অবস্থানরত নিখোঁজ হাজিদের স্বজনদের মক্কার মাইসাম হাসপাতালে গিয়ে সংরক্ষিত মরদেহ দেখে শনাক্ত করার আহ্বান জানান গোলাম মসিহ।
শনাক্ত হওয়া হাজিদের দাফন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিহতদের উত্তরাধিকারী বা স্বজনরা মক্কা বা বাংলাদেশ যেখানে ইচ্ছা সেখানে দাফনের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এ জন্য সৌদি আরব সরকার ও বাংলাদেশ হজ মিশন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে বলেও জানান তিনি।
সব বাংলাদেশি হাজির মরদেহ মক্কার মাইসাম হাসপাতালে রাখা আছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, মরদেহগুলো কিছুটা বিকৃত হয়ে গেছে। এ কারণে এসব মরদেহের ছবি প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।