প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ভারত গড়ার ভাবনাকে সমর্থন জানিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, নরেন্দ্র মোদি আদৌ এর পথিকৃৎ নন। রাজীব গান্ধীর আমলেই এই কাজ শুরু হয়েছিল। আর ১৬ বছর আগে তিনি নিজে যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখনই ব্রডব্যান্ড পরিষেবার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে গত রবিবার মোদি বলেছেন, আগে নদীর ধারে সভ্যতার জন্ম হতো। আগামী দিনে অপটিক্যাল ফাইবারের নেটওয়ার্ক যেখানে, সেখানেই জন্ম নেবে নতুন সভ্যতা। ওই অনুষ্ঠানেই গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই জানিয়েছেন, ভারতের ৫০০টি রেলস্টেশনে খরচা ছাড়াই ওয়াই-ফাই পরিষেবা দেবেন তারা। আর মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেল্লার প্রতিশ্রুতি, ভারতের ৫ লাখ গ্রামকে সস্তার ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তি দেওয়ার প্রকল্পে অংশীদার হবেন তারা। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র এই পরিকল্পনায় পূর্ণ সমর্থন আছে মমতার। শুধু তার বক্তব্য, রাজীব যখন প্রধানমন্ত্রী তখনই শ্যাম পিত্রোদার হাত ধরে এই কাজ শুরু হয়।
পরে দুই দুইবার রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি নিজেও ডিজিটাল পরিষেবা ছড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
গতকাল সোমবার নবান্নে মমতা বলেন, ‘সংবাদপত্রে দেখলাম, দেশের ৫০০টি স্টেশনে ওয়াই-ফাই পরিষেবা চালু হবে। এ সব নতুন নয়। আমি যখন ১৯৯৯-এ এক বছরের জন্য রেলমন্ত্রী ছিলাম তখনই ব্রডব্যান্ড পরিষেবার সিদ্ধান্ত হয়।’ তবে মমতা মেনে নেন, ‘এটা খুবই ভাল। অনেকগুলো স্টেশনে এটা হয়েওছে।’ ২০০৯-এ তিনি যখন দ্বিতীয় বারের জন্য রেলমন্ত্রী হন, তখনই ব্রডব্যান্ড ইন্ডিয়া ও কেব্ল পাতার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। ৭-৮ বছর আগেই কোচবিহারে ব্রডব্যান্ড শিল্প করার প্রস্তাবও তিনি দিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘আমরা কলকাতাকে ওয়াই-ফাই পরিষেবায় নিয়ে এসেছি। ফোর-জি এসেছে। শুধু কলকাতা নয়, ওই পরিষেবা মিলছে শিলিগুড়ি, বর্ধমান আর রাজারহাটেও।’
মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, ডিজিটাল ইন্ডিয়া নিয়ে কি এখন বেশি কথা হচ্ছে? মমতার উত্তর, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ সবাই চাই। তবে সমাজের নিচুতলা পর্যন্ত না পৌঁছলে তা সফল হবে না। গ্রামীণ ভারতকে বাদ দিয়ে সেটা কোনো মতেই সম্ভব নয়।’ সূত্র : আনন্দবাজার