আগামী শনিবার ইন্দিরা গান্ধী সংস্কৃতি কেন্দ্রে রবীন্দ্রসঙ্গীত ও আবৃত্তানুষ্ঠান

আগামী শনিবার ইন্দিরা গান্ধী সংস্কৃতি কেন্দ্রে রবীন্দ্রসঙ্গীত ও আবৃত্তানুষ্ঠান

আগামী ৩ অক্টোবর শনিবার ইন্দিরা গান্ধী সংস্কৃতি কেন্দ্রে রবীন্দ্রসঙ্গীত ও আবৃত্তানুষ্ঠানের sadyasdjaslআয়োজন করেছে। সঙ্গীত সন্ধায় রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করবেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং আবৃতি পরিবেশন করবেন ড: রনজিৎ বিশ্বাস। ঢাকার গুলশানে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধী সংস্কৃতি কেন্দ্রে আগামী শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠানটি শুরু হবে।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত একজন প্রথিতযশা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী । তিনি তাঁর ঘরানার সংগীতের একজন বহুমুখী প্রতিভা হিসাবে বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকভাবে সমাদৃত । তিনি তাঁর গুনানুরাগীদের কাছে শুধু মাত্র ‘বন্যা’ নামেও পরিচিত । কণিকা বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের শিষ্যদের মধ্যে তাকেই সবচেয়ে জনপ্রিয় গণ্য করা হয় । তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের একজন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ১৯৯২ সালে সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’ চালু করেন তিনি।
তিনি প্রাথমিক অবস্থায় বাংলাদেশের ছায়ানট ও পরে ভারতের বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।তিনি সেখানে শিক্ষক হিসেবে পান শান্তিদেব ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন, এবং আশীষ বন্দ্যোপাধায়ের মতো শিক্ষকদের। তিনি বাংলাদেশে ফিরে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন এবং বুলবুল ললিতকলা একাডেমীতে ভর্তি হন। কিন্তু ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে তিনি তাঁর অধ্যয়ন সংক্ষিপ্ত করতে বাধ্য হন। তিনি রবীন্দ্র সংগীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপরও শিক্ষা লাভ করেছেন। তাঁর গানের অ্যালবাম পশ্চিম বাংলা ও বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সুরের ধারা নামের একটি সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে তিনি আনন্দ সংগীত পুরস্কার লাভ করেন। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা হারমোনিয়াম ও এস্রাজ বাজাতে পারেন।
শিক্ষাগ্রহন সম্পন্ন হবার পর থেকেই তিনি তার সংগীতের প্রদর্শন, নির্ভুল উচ্চারণ এবং সবচেয়ে কঠিন ও অপ্রচলিত গানগুলোও গাইবার আগ্রহের কারণে বিশ্বভারতী ধারার একজন গুরু হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছেন । তিনি অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতে, তার বহুসংখ্যক এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে । ঢাকায় সুরের ধারা নামে একটি সংগীতশিক্ষা স্কুলও তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন । ২০০২ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী (নারী) হিসাবে প্রথম আনন্দ সংগীত পুরস্কারে ভূষিত হন, যা পরের বছরও লাভ করেন।
রনজিৎ বিশ্বাস, বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব, শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি তার অসাধারন ভালোবাসা। ১৯৮১ সালে সিভিল সার্ভিস যোগদানের পূর্বে তিনি একজন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেন। ছোট গল্প লেখক, কলামিস্ট, ব্যঙ্গ ও দেশব্যাপী খ্যাতি সম্পন্ন ক্রিকেট বিশ্লেষক হিসেবে তিনি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক গুলোতে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
গান এবং আবৃত্তি বিষয়ে রনজিৎ বিশ্বাসের রয়েছে অসাধারন অভিজ্ঞতা। সাহিত্যের প্রতি অন্তর্দৃষ্টি এবং বৈশিষ্ট্যাবলী জন্য তিনি প্রশংসা, সম্মান ও পুরষ্কার অর্জন করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি, এমবিএ এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ হতে স্নাতকোত্তর পেয়েছেন। রনজিৎ বিশ্বাস ছদ্মনামে তার অধীনে নিজের লেখা ২৫ টি বই রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রসঙ্গীত ও আবৃত্তানুষ্ঠানটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে (আমন্ত্রণ পাস সংগ্রহ করার
কোন প্রয়োজন নেই)। কোন ধরনের ব্যাগ কর্মসূচি চলাকালে বহন করা নিষিদ্ধ।
ঠিকানা:
ইন্দিরা গান্ধী সংস্কৃতি কেন্দ্র, বাড়ি নং: ৩৫, রোড নং: ২৪, গুলশান-১, ঢাকা।

Featured বিনোদন