৩০ বছর পর আজ আকাশে ফের ‘সুপার মুন’!

৩০ বছর পর আজ আকাশে ফের ‘সুপার মুন’!

একেবারেই মন্দ কপাল আমাদের বলা যাচ্ছে না!

একটি ‘বিরল’ মহাজাগতিক ঘটনা আজ, রোববার আমরা দেখতে পাব ঢাকার আকাশে! পাক্কা ৩০ বছর পর। ‘সুপার মুন’। যাকে ‘সুপার ব্লাডি মুন’ও বলা হয়।
image_139038_0

এত বড় আর এত উজ্জ্বল চাঁদ ১৯৭৬ সালের পর ঢাকার আকাশে আর দেখা যায়নি । এত বড় চাঁদ আবার ঢাকায় দেখা যাবে ১৮ বছর পর, ২০৩৩-এ। আবার কপাল কিছুটা মন্দও আমাদের! সেই উজ্জ্বলতম চাঁদের পূর্ণগ্রাস ‘গ্রহণ’ আমরা ঢাকায় আজ দেখতে পারব না। তা দেখা যাবে শুধুই উত্তর আর মধ্য আমেরিকা, আফ্রিকা আর দক্ষিণ ও পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশে। ভারতের কোথাওই দেখা যাবে না ‘পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ’। পৃথিবীর চার দিকে তার একমাত্র উপগ্রহ- চাঁদ চক্কর মারছে দিন-রাত। কিন্তু, যে-পথে চক্কর মারছে, সেই পথটা আসলে পুরোপুরি গোলাকার নয়। বরং অনেকটা ডিমের মতো। ফলে, চক্কর মারতে-মারতে সেই চাঁদ কখনও আমাদের এই গ্রহের কাছে চলে আসে, কখনও-বা চলে য়ায় দূরে। চাঁদকে সবচেয়ে বড় দেখতে লাগে তখনই, যখন সেটি সবচেয়ে কাছে চলে আসে পৃথিবীর। যাকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে, ‘পেরিজি’। সবচেয়ে কাছে আসে বলেই চাঁদকে দেখতে তখন সবচেয়ে বড় লাগে। তা হয়ে যায় উজ্জ্বলতম। এই ঘটনাটিকেই জ্যোতর্বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘সুপার মুন’।

আবার কেউ কেউ বলেন, ‘সুপার ব্লাডি মুন’। কেন? উজ্জ্বলতম চাঁদের বিশেষণে হঠাৎ ‘ব্লাডি’ শব্দটা বসানো হল কেন?

তারও কারণ রয়েছে। চাঁদের নিজের আলো নেই। সূর্যের আলো তার উপর কতটা-কী পড়ছে, তার উপরেই তার উজ্জ্বলতা নির্ভর করে। পৃথিবী থেকে দূরে থাকলে চাঁদের রুখু-সুখু লালচে পাথুরে ‘মাটি’-র ছবিটা ততটা স্পষ্ট হয় না। যেই কাছে আসে আমাদের, তখনই চাঁদের লালচে পাথুরে ‘মাটি’-ও দৃশ্যমান হয়, স্পষ্টতর হয়। ভিতরে-ভিতরে স্বপ্নের চাঁদ যে কতটা ‘লাল’ হতে পারে, তা তখনই ঠাওর করা যায়। তাই ‘সুপার মুন’-ই হয়ে ওঠে ‘সুপার ব্লাডি মুন’!

‘পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ’ দেখার সুযোগটা আমাদের হাত ফস্কে বেরিয়ে গেল বলে আক্ষেপ হচ্ছে কেন?

কারণ, ‘গ্রহণ’ শেষ হওয়ার পর আমরা যদি ‘সুপার মুন’-কে দেখতে পারতাম, দৃশ্যমানতার স্বাভাবিক নিয়মে, চাঁদকে আরও বেশি উজ্জ্বল ও আরও বড় দেখাত! আরও বেশি ‘ব্লাডি’-ও!

ভাগ্যিস, চাঁদ আরও ‘রক্তাক্ত’ হবে না আজ, ঢাকার আকাশে!।- সংবাদসংস্থা

Featured আন্তর্জাতিক