সৌদি আরবের বাদশা সালমান হজ্জ পালনের সময় নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়ে হজ্জ ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।
মিনায় পদদলনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১৭। আহত হয়েছেন আরও ৮৬৩ জন।
গত ২৫ বছরের মধ্যে এটি অন্যতম সবচেয়ে ভয়াবহ হজ্জ দুর্ঘটনা।
২০ লাখ হাজি প্রতীকি রীতি অনুযায়ী যখন শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর ছুঁড়ছিলেন তখন ভিড়ের চাপে এবং হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সৌদি বাদশা সালমান বলেছেন, ‘হজ্জযাত্রীদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং হজ্জ ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে।’
সৌদি সরকার ঘটনা তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেছে।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রী খালেদ আল ফালি বলেছেন ‘বহু হাজি কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়সূচি অমান্য করার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
ইরানের সর্ব্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেইনি বলেছেন ‘সৌদি সরকারকে বড় ধরনের দায়িত্ব স্বীকার করে নিতে হবে। অব্যবস্থাপনা এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না নেওয়াই এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।’ এই দুর্ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে ইরানের ৯৫জন হাজি মারা গেছেন।
হজ্জে নাইজেরীয় হাজিদের প্রতিনিধি দ্বিতীয় মোহাম্মদ সুনুসি বলেছেন ‘হাজিরা নির্দেশ অমান্য করেছে বলে তাদের ওপর সৌদি কর্তৃপক্ষের চাপানো সঠিক নয়।’
আমেরিকা সফররত পোপ ফ্রান্সিস নিউ ইয়র্কের সেন্ট প্যাট্রিক গির্জায় প্রার্থনাকালে মুসলমান সমপ্রদায়ের প্রতি তার সহমর্মিতা ও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র মেজর জেনারেল মনসুর আল তুর্কি বলেছেন দুটি ভিন্ন পথ দিয়ে আসা হাজিদের ২ টি বিশাল দল রাস্তা ২ টির সংযোগস্থলে পৌঁছলে ভিড়ের চাপে ও হুড়োহুড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।