সিনেমাতে সাধারণত এমনটা দেখা যায়। মহিলা ড্রাগ মাফিয়া। মাথায় রাখবেন, পাচারকারী নয়, কর্ত্রী। অপহরণ করে অপহৃতের বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া, না মিললে অপহৃতের বাড়ির সামনেই তার লাশ ফেলে আসাটা জলভাত ছিল ৩০ বছরের মেলিসা ক্যালডেরনের কাছে। কিন্তু তার পরিণতি যে এরকম হবে-কে জানত?
মেক্সিকোর সবথেকে কুখ্যাত ড্রাগ মাফিয়াকে আড়ালে ‘পাগলি’ বলতেন তার বয়ফ্রন্ড পেদ্রো। এই পেদ্রোও অবশ্য ধোয়া তুলসিপাতা নয়। অন্তত ১৮০টি খুনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেই পেদ্রোই কিনা শেষমেশ তার প্রেয়সীকে ধরিয়ে দিল পুলিশের কাছে। গত শনিবার পুলিশের কাছে মেলিসার গোপন আস্তানার খোঁজ দেয় পেদ্রো। বিনিময়ে পেদ্রোর উপর থেকে সমস্ত পুলিশি চার্জ তুলে নিতে হবে- এই বলে রফা হয়। পুলিশ মেলিসাকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলিসার বায়োগ্রাফি বেশ আকর্ষণীয়। ড্রাগ পাচারকারীরা তাকে ডাকে ‘লা চিনা’ বলে। কারণ, মেলিসাকে দেখতে এশীয়দের মত। ২০০৫ সালে কুসঙ্গে পড়ে এই ব্যবসায় হাতেখড়ি। এল চ্যাপো গুজম্যানের হাত ধরে উত্থান। ২০০৮ সালের মধ্যেই ড্রাগ মাফিয়া। গরম মাথা ও সুন্দর চেহারার জন্য বিখ্যাত হতে বিশেষ দেরি হয়নি। তার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের প্রোফাইলটি ঘেঁটে জানা যায়, বন্দুক ও সুন্দর পুরুষের প্রতি মেলিসার বিশেষ দুর্বলতা ছিল। শেষমেশ এই সুন্দরী মাফিয়া এখন পুলিশি হাজতে।