কিউবায় ক্যান্সারের চিকিৎসায় অস্ত্রোপচার শেষে শুক্রবার ভেনেজুয়েলায় ফিরেছেন প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ।
দেশে ফিরে অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন তিনি। যদিও এখনো নিয়মিত কেমোথেরাপি নিতে হবে তাকে।
৫৭ বছর বয়সী শ্যাভেজ জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে বলেন, কেউ কি বলেছিল পথটা খুব সহজ হবে? আমি বেঁচে থাকার এবং শেষ পর্যন্ত আমার সর্বস্ব দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছি।
তিন সপ্তাহ পরে দেশে ফেরার মাধ্যমে এই সমাজতন্ত্রী নেতার পুনর্বহাল বিষয়ে অনিশ্চিয়তা, জনতার উদ্বেগ ও তার উত্তরসূরী কে হবেন- সে বিষয়ে বিতর্ক ও আলোচনার ইতি ঘটলো।
শ্যাভেজের কী ধরনের ক্যান্সার হয়েছে তা এখনো জানানো হয় নি জনসমক্ষে। তবে আগামী ৭ অক্টোবরের নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তি তার রয়েছে কি না তা নিয়ে এখনো কানাঘুষা চলছে।
এ নির্বাচনটি গত ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক যুদ্ধ হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হয়।
হাভানা থেকে কারাকাসের মাইকেইতা বিমান বন্দরে পৌঁছেই হাস্যোজ্জ্বল শ্যাভেজ তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে আলিঙ্গন করেন। এরপর তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ৩০ মিনিট দীর্ঘ একটি ভাষণ দেন।
ভাষণে তিনি বলেন, এ ফিরে আসা ঈশ্বরের প্রতি এক ধরনের অঙ্গীকার।
ভেনেজুয়েলার বিপ্লবের নেতা সিমোন বলিভারের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ৭ অক্টোবর এক ‘বলিভারিয়ান বিজয়’র সুবাস পাওয়া যাচ্ছে।
রোববার ফেরার কথা থাকলেও আকস্মিকভাবে শুক্রবার দেশে ফেরেন শ্যাভেজ। তার ফেরার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিমান বন্দরের সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।
২০১১ সালের জুন মাসে শ্যাভেজের পেলভিসের হাড় থেকে বেসবলের সমান আকৃতির একটি টিউমার অপসারণ করেন কিউবান চিকিৎসকরা।
ওইসময় টিউমার অপসারণের পরে নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলে ঘোষণা দেন শ্যাভেজ। তবে তার শরীরে আরো একটি টিউমার ধরা পড়ে। গতমাসে কিউবাতে তার দ্বিতীয় টিউমারটিও অপসারণ করেন কিউবান চিকিৎসকরা।