ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হয়ে যাওয়া রাজধানীর নিরাপত্তায় মাঠে নেমেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ১২ হাজার সদস্য। এর মধ্যে ১০ হাজার পুলিশ পোষাকে এবং ২ হাজার পুলিশ সদস্য সাদা পোষাকে নিয়োজিত থাকবেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার পর জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া।
ব্যাংকসহ বিভিন্ন অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আবাসিক এলাকাগুলোতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। চুরি ও ছিনতাই রোধে ৪৯ থানা পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যদের মোটরসাইকেল টহল। রাজধানীর পশুর হাট ঘিরেও রয়েছে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা। কোরবানির পশুর হাট ছাড়াও র্যাব এবং পুলিশের পক্ষ থেকে রাজধানীর প্রতিটি বাস টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশনে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
এর বাইরে এবারের ঈদে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা ছাড়াও কমিউনিটি পুলিশ ও বিট পুলিশকে নিযুক্ত করা হয়েছে। ঈদে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঢাকা মেট্রোপিলটন এলাকায় কর্মরত পুলিশের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। মহানগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, সব মিলিয়ে এবারের ঈদে রাজধানীজুড়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘এর আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হয়ে যাওয়া রাজধানীতে চুরি-ছিনতাইসহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় আগে থেকেই নিরাপত্তা ছক তৈরি করা হয়েছে। আগে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় গত ঈদুল ফিতরের ছুটিতে তেমন কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন। ঈদুল ফিতরের চেয়ে কোরবানির ঈদে অপারেশনাল ইউনিটগুলোকে আরও বেশি সক্রিয় রাখা হয়েছে।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এবারের ঈদের ছুটিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের ৮টি ক্রাইম জোনে প্রায় ৮ হাজার পুলিশ ও ২ হাজার র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া কমিউনিটি পুলিশের প্রায় ৩ হাজার সদস্য ঈদের ছুটিতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় পালাক্রমে ডিউটি করবেন।
পুলিশ কর্মকর্তা মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক ও অর্থ প্রতিষ্ঠানের আশপাশে সন্দেহজনক লোকদের চলাচলের ওপর গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি রাজধানীর সবকটি ক্রাইম জোনে অসংখ্য চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। এসব চেক পোস্টে তল্লাশি ছাড়াও সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।