উৎসাহ নেই ঈদুল ফিতরের মতো চাঁদ খোঁজার। তারিখ আগেই নির্ধারিত। রাত পোহালেই তার উদযাপন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসব আমেজের মধ্য দিয়ে আগামীকাল শুক্রবার সারা দেশে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।
মুসলমানদের ২য় বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে কোরবানির শিক্ষা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য ব্যক্তি ও সমাজজীবনে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।
ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্বের সব মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে বিভেদ-বৈষম্যহীন সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের সব কারাগার, সরকারি হাসপাতাল, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, শিশুসদন, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধীকেন্দ্র, সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র, সেফ হোমস, দুস্থ কল্যাণকেন্দ্র এবং শিশু ও মাতৃসদনে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিআরটিসি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি), বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য বেসরকারি সংস্থা ঈদ উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক যাত্রীর যাতায়াতের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে দেশের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে ওই জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বায়তুল মোকাররম মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টা, দ্বিতীয়টি সকাল ৮টা, তৃতীয়টি সকাল ৯টা, চতুর্থটি সকাল ১০টা এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।
রাজধানীতে জাতীয় ঈদগাহসহ ৩৬২টি ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ঈদুল আজহার ২২৮টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে।