সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে শনিবার দু’টি শক্তিশালী বিস্ফোরণে ২৭ জন নিহত ও ৯৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বেসামরিক ও পুলিশ সদস্য রয়েছে।
টিভি খবরে এই বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করা হয়েছে। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে খবরে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা বিস্ফোরক বোঝাই দু’টি গাড়িতে করে দামেস্ক পুলিশের একটি দাপ্তরিক অফিসে ঢুকে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।
মূলত দামেস্ক পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ও গোয়েন্দা সংস্থার ভবনই এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিলো বলে মনে করছে নিরাপত্তা সংশ্লিস্টরা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ইতিমধ্যে ঘটনাস্তলের বেশ কয়েকটি ফুটেজ দেখিয়েছে। প্রচারিত ফুটেজে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি দেহ, নিরাপত্তা বাহিনীর পোড়া গাড়ি ও রক্তে রঞ্জিত রাস্তার চিত্র দেখা গেছে। এরমধ্যে একটি মৃতদেহকে এক হামলাকারীর বলে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা এবং বিরোধীরা জানিয়েছে, সাধারণ নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিরিয়াতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বিরোধী বিক্ষোভ শূরুর প্রথম বার্ষিকী অতিবাহিত হওয়ার দু’দিন পরই এমন ঘটনা ঘটল।
সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সহিংসতার পেক্ষিতে এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও দ্বিধাবিভক্ত অবস্থায় আছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো যে প্রস্তাব দিয়েছিলো তাতে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া এবং চীন।
সম্প্রতি জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে আরব লিগের একটি প্রতিনিধি দল রক্তপাত বন্ধে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের সাথে দেখা করেছেন। ওই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কফি আনান শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দিলে বিদ্রোহীরা তা ফিরিয়ে দেয়।
কফি আনানের এই শান্তি উদ্দোগের মধ্যেও দেশটিতে গত কয়েকদিন সরকারি বাহিনীর সাথে বিদ্রোহীদের নতুন করে সংর্ঘষের খবর পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের হিসাব অনযায়ী গত বছরের মার্চে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংসতায় সিরিয়ায় এ যাবত প্রায় নয় হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।