রাজধানীর রেলস্টেশন, বাস টার্মিনালগুলো ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গত ক’দিনের তুলনায় আজ বুধবার সকাল ১০টার পর থেকে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। এছাড়া রাজধানীর গাবতলী, শ্যামলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে ছিল ঈদ বাড়িমুখি মানুষের ভিড়। রাজধানীর একমাত্র লঞ্চ ও স্টিমার টার্মিনাল সদরঘাটেও ছিল মানুষের আনাগোনা। এদিকে লঞ্চ ও বাস স্ট্যান্ডগুলোয় যাত্রীরা অভিযোগ করেছে তাদের কাছ থেকে দ্বিগুনের বেশী ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি পরিবহনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগও রয়েছে। অপরদিকে সকালে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় ভিড়ের কারণে কিছু যাত্রীকে ঝুঁকি নিয়েই ট্রেনের ছাদে চড়ে রওনা হচ্ছে।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালের ভাগে মোটামুটি স্বস্তি নিয়েই ট্রেনে চড়ে যাত্রা শুরু করতে পেরেছেন তারা। কমলাপুরে রেলস্টেশনে আসা বেসরকারি সংস্থার কর্মী অদিতি বলেন, বাড়ি যেতে অনেক কষ্ট হলেও শেষ পর্যন্ত নিরাপদে বাড়ি ফেরার আনন্দটাই আলাদা। পথে সিরাজগঞ্জের যাত্রী বসির আহমেদ বলেন, প্রতিটি বগিতে অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে আছে, তারপর সঠিক সময়ে বাড়ি ফেরা গেলে এ কষ্ট কষ্ট মনে হবে না। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, আগের দিনের তুলনায় আজ ভিড় বেশি। তিনি বলেন, আস্তে আস্তে ভিড় বাড়বে। তবে অধিকাংশ ট্রেন সিডিউল টাইমে না ছাড়ার কথা স্বীকার করেন সিতাংশু চক্রবর্তী।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, আজ দুপুরের পর থেকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের স্রোত দেখা যাবে। দুপুরে দেখা যায় ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠছে কমলাপুর রেলস্টেশন। আগের দিনের তুলনায় আজ বেশি ভিড় দেখা গেছে কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে। নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, সদরঘাটে মোট ১৩টি পন্টুন। যাত্রীরা তাদের লঞ্চ কোথায় বুঝতে না পেরে এক পন্টুনে এসে ভিড় করে। নৌ পুলিশের শতাধিক সদস্য পর্যায়ক্রমে সদরঘাটে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রসঙ্গত আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন বাংলাদেশের মুসলমানরা। ৩ দিনের ঈদের ছুটির আগে বুধবারই শেষ কর্ম দিবস। এ কারণে বিকেলে অফিস ছুটির পর ট্রেনে, বাসে, লঞ্চে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকবে সবচেয়ে বেশি। তবে ঈদের আগে অনেকে ছুটি নেয়ায় এবং পোশাক কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে কর্মীদের ছুটি দেয়ায় মঙ্গলবার থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ।