বাংলাদেশের `সমুদ্রজয়ে` এফবিসিসিআইর অভিনন্দন

বাংলাদেশের `সমুদ্রজয়ে` এফবিসিসিআইর অভিনন্দন

সমুদ্রসীমা বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দীর্ঘ ৩৮ বছরের বিরোধ মিটে যাওয়াসহ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে বাংলাদেশের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা পাওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)।

শনিবার সংগঠনটির সভাপতি এ কে আজাদ এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান।

এফবিসিসিআইর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ রায়ের মাধ্যমে আমাদের বহু দিনের চাওয়া ‘ন্যায্যতাভিত্তিক জলসীমা’র দাবি প্রতিষ্ঠিত হলো। এই ঐতিহাসিক বিজয়ে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং তার সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭৪ সাল থেকে সৃষ্ট এ বিরোধের অবসানের ফলে উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক এলাকায় এবং এর বাইরে মহীসোপান এলাকায় বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ অধিকারের আইনগত স্বীকৃতি নিশ্চিত হলো।
এছাড়াও বঙ্গোপসাগরের জলরাশি এবং তলদেশের সম্পদরাজিতে আমাদের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো। এর ফলে গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাসের জন্য ব্লক ইজারার জটিলতার অবসান হবে বলে আমরা আশা করি।

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের বিপুল মৎস্য সম্পদ, তেল-গ্যাস ও খনিজ সম্পদ যথাযথভাবে আহরণ, উত্তোলন এবং ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন হবে বলে বিশ্বাস করে সংগঠনটি।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল (ইটলস)-এর রায় ঘোষণার মাধ্যমে ২০০ নটিক্যাল মাইল বাংলাদেশ পায়। মিয়ানমার এ রায়কে মেনে নেয়।

অর্থ বাণিজ্য