ঈদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পড়ায় ক্ষুব্ধ মুসলিম নেতারা

ঈদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পড়ায় ক্ষুব্ধ মুসলিম নেতারা

আসন্ন ঈদুল আযহার মধ্যে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন কলেজে পরীক্ষা পড়ায় তীব্র asduasdaক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিম নেতারা। অবিলম্বে পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন বা এসআইও’র রাজ্য সম্পাদক মহব্বত শেখ আজ (মঙ্গলবার) জানান, ‘মুসলিমদের কাছে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার দু’টি দিন অত্যন্ত পবিত্র এবং খুশির। এই সময়ে পরীক্ষা পছেলে স্বাভাবিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। অনেক সময় ধর্মভীরু মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীরা হতাশ হয়ে যায়। কেউ কেউ আবার পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো না হওয়ায় ভাল ফল করতে পারে না। ফলে চাকরির বাজারে তারা কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত উৎসবের দিনগুলোকে বাদ দিয়ে পরীক্ষার সূচি তৈরি করা।’
এসআইও’র পক্ষ থেকে আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ঈদের আগের দিন এবং ঈদের পরের দিন পরীক্ষার তারিখ রাখা হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর আসন্ন ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। এর পরের দুই দিনও কুরবানী করা হয়ে থাকে। তাছাছো ঈদের আগের দিন সবাই উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যদিও এই সময়ের মধ্যেই পরীক্ষা পছোয় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধীনস্থ ৪৯টি ডিগ্রি কলেজের কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী অসুবিধায় পছেবে। তাই অবিলম্বে পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন করতে হবে।’
কলকাতার ঐতিহ্যবাহী রেড রোডের ঈমামে ঈদাইন ক্বারি ফজলুর রহমান জানান, ঈদের মধ্যে অবশ্যই পরীক্ষার তারিখ রাখা উচিত নয়। এতে হাজার হাজার মুসলিম ছাত্র-ছাত্রী অসুবিধায় পছেবে। এতে সরকারের বদনাম হবে। এ জন্য পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করে দেয়া উচিত।
ঈদের আগের এবং পরের দিন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরীক্ষার ব্যবস্থা করায় জামাতে ইসলামী হিন্দের পশ্চিমবঙ্গের আমীর এ হালকা মুহাম্মদ নূরুদ্দীন আজ বলেন, ঈদ উৎসবের মধ্যে পরীক্ষা হলে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীরা অসুবিধায় পছেবে। অবিলম্বে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হবে। এসআইও’র পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।’
‘অল ইন্ডিয়া সুন্নাত অল জামাত’র সাধারণ সম্পাদক মুফতী আব্দুল মাতিন এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এটা মহা অন্যায়। মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহার আগের দিন এবং পরের দিন পরীক্ষা রাখা ঠিক হয়নি। অবিলম্বে শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করা হোক এই দাবি জানাচ্ছি।

Featured আন্তর্জাতিক