মোটরযান ও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে পরিকল্পিত, প্রযুক্তিনির্ভর ও টেকসই করতে সরকারি ট্রাস্ট পরিচালনায় ‘আমব্রেলা’ আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে নতুন এই আইন করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৫’ এর খসড়ার ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। ১৩ সদস্যের এ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের সচিব হবেন ট্রাস্টের সহসভাপতি। সরকারের পক্ষ থেকে এই ট্রাস্টে অর্থের যোগান দেয়া হবে। এর বাইরে ট্রাস্ট অন্য উৎস থেকেও অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
বৈঠক শেষে মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, দেশে যে ট্রাস্ট আইন আছে তা বেসরকারি ট্রাস্ট পরিচালনার জন্য। সরকারি খাতে ট্রাস্ট গঠনের জন্য কোনো আমব্রেলা আইন না থাকায় প্রত্যেক ট্রাস্টের আলাদা আইন করতে হয়। এ কারণেই মন্ত্রিসভা সরকারি খাতের ট্রাস্ট গঠনের জন্য এ ‘আমব্রেলা ল’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে ট্রাস্ট গঠনের জন্য আলাদা আইন করার প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে ১৯৮৩ সালের একটি মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিআরটিএ পরিচালিত হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পরিবহন খাতের উন্নয়ন ও বিস্তৃতি ঘটেছে। কিন্তু আইনি ভিত্তি সবল নয়। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কার্যকরভাবে কাজ করতে গেলে আইনি কাঠামো শক্তিশালী করার প্রয়োজন আছে। এজন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সমন্বিত আইন করার উদ্যোগ নেয়। বিভিন্ন সভায় মতামত, পরামর্শ দিয়ে আইনের খড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, অধ্যাদেশে ৪টি ধারা থাকলেও আইনে ২৮টি ধারা ও ৭২টি উপধারা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এতে কর্তৃপক্ষ ও উপদেষ্টা পরিষদের গঠন, কাজ, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, প্রশাসন পরিচালনা, কমিটি গঠন, বাজেট-হিসাব-অডিট ইত্যাদি যুক্ত করা হয়েছে।
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ দেয়। বিজ্ঞানী বা তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের ফেলোশিপ দিতেই এ আইন করা হচ্ছে। এছাড়া বিজ্ঞান গবেষণা উন্নয়নে মাস্টার্স, পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল গবেষকরাও এ আইনের মাধ্যমে সহায়তা পাবেন বলে মোশাররাফ জানান। তিনি বলেন, নতুন আইনের খসড়ায় ট্রাস্টের গঠন, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, ব্যবস্থাপনা, ট্রাস্টি বোর্ডের গঠন, বোর্ডের কাজ, তহবিল সংরক্ষণ, বাজেট ও হিসাব নিরীক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত রয়েছে। বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইনের আওতায় সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারবে।