টানা ৮৩ দিন অনুপস্থিতির পর সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রোববার সংসদীয় দলের বৈঠক ডেকেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক জানান, ১৮ মার্চ বিকাল ৪টায় সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় নেতার কক্ষে এই বৈঠক হবে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সংসদ যাওয়ার বিষয়ে বৈঠকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।”
সর্বশেষ গত বছরের ২৪ মার্চ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সংসদের অষ্টম অধিবেশনে যোগ দেয় বিএনপি। সংসদ সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ৮৩ দিন ধরে অধিবেশনে অনুপস্থিত রয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা এবং তার দলের সদস্যরা।
নিয়ম অনুযায়ী, সংসদ সদস্য পদ টিকিয়ে রাখতে হলে আর সাত কার্যদিবসের মধ্যেই তাদের অধিবেশনে ফিরতে হবে। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী, টানা ৯০ দিন অনুপস্থিত থাকলে একজন সাংসদের সদস্য পদ শূন্য হয়ে যায়।
এদিকে সংসদের চলমান দ্বাদশ অধিবেশন ৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে বলে কার্য উপদেষ্টা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হলেও পরে তা বাড়ানো হয়। চলতি অধিবেশন কতদিন চলবে, তা এখনো ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন স্পিকার আব্দুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জ্যেষ্ঠ সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করে সোমবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
“অধিবেশন এমনভাবে বাড়ানো হবে যাতে জুনের বাজেট অধিবেশনের আগে আলাদা কোনো অধিবেশন না ডাকতে হয়”, বলেন স্পিকার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজেট অধিবেশনের আগে অন্য কোনো অধিবেশন ডাকা না হলে চলতি অধিবেশন এ মাসের শেষ পর্যন্ত চালাতে হবে। সেক্ষেত্রে বিএনপিকে সংসদে ফিরতে হবে চলতি অধিবেশনেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসা বিএনপি দাবি তুলেছে, সরকারকেই এ ব্যাপরে সংসদে বিল পাস করতে হবে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তেমন সম্ভবনা উড়িয়ে দিয়ে বলে আসছেন, বিএনপির ভিন্ন কোনো প্রস্তাব থাকলে সংসদে এসেই তা দেওয়া উচিৎ।
এই প্রেক্ষাপটে ৯০ দিনের বাধ্যবাধকতার সময় ঘনিয়ে আসায় বিএনপি শিগগিরই সংসদে যোগ দিতে পারে বলে আলোচনা চলছে গত কয়েকদিন ধরে। আর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই রোববার সংসদীয় দলের সঙ্গে বসছেন খালেদা জিয়া।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “বিএনপি ও শরিক দলের সব সাংসদ সদস্যকে রোববারের সভায় উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
সংরক্ষিত নারী আসন মিলিয়ে ৩৫০ সদস্যের নবম জাতীয় সংসদে বিএনপি ও সমমনাদের আসন সংখ্যা ৩৯।