‘বাজারে ভারতীয় গরুর অভাব নেই’

‘বাজারে ভারতীয় গরুর অভাব নেই’

বাংলাদেশে যখন কোরবানি ঈদ সমাগত তখন, গত কয়েক মাস ধরেই বিস্তর কথাবার্তা হচ্ছে asdiasdl,ভারতীয় গরু আমদানি নিয়ে। ভারত সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারে যথেষ্ট কড়াকড়ি আরোপ করেছে, এমন সংবাদে বাংলাদেশে গরুর মাংসের দামও বেশ চড়া হয়েছে।
কিন্তু ঢাকার গাবতলীর একজন বড় ব্যবসায়ী বলছেন, ভারত থেকে গরু আসা কখনোই বন্ধ হয়নি, এখনো বন্ধ নেই। মজিবুর রহমান নিজেও ভারত থেকে আনা গরু ও মহিষ কেনাবেচার সাথে জড়িত বলে উল্লেখ করছিলেন।
তিনি বলেন, আপনারা যে বলেন ভারতীয় গরু নেই, আমিতো তা দেখি না। বাজারে ভারতীয় গরুর অভাব নেই। আমার আজকেও ২৯ গরু এসেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত থেকে এগুলো তিনি কিনে এনেছেন বলে জানান।
আসছে তো অবৈধপথে। আমাদের দেশে ভারতীয় গরু আসার বৈধ কোনো পথ নেই। কাস্টমসকে ৫০০ টাকা দিলেই গরু বৈধ হয়ে যায়, বলছিলেন রহমান।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় শনিবার থেকে শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর হাট।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার হাটে পশুর সরবরাহ অপ্রতুল, দামও এখন পর্যন্ত বেশিই হাঁকানো হচ্ছে। এরই মধ্যে শনিবারই খোদ রাজধানীতেই ব্যবসায়ীদের আহত করে একটি গরুর ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এসব ছিনতাই করা গরুর বাজার কোথায়?
মজিবুর রহমান বলছেন, হাটেই বিক্রি হচ্ছে এসব গরু। এই যে গাবতলীর হাট, বিশাল বড় হাট। আমার স্থান থেকে কিছু দুরে গিয়ে দাঁড়িয়ে যদি আমারই গরু কেউ বিক্রি করে চলে যায় তাহলে তো আর আমি ধরতে পারব না। এ রকম কতগুলো হাটে পাহারা বসাব আমি? তবে আমার ৩৮ বছরের ব্যবসার অভিজ্ঞতা বলছে এবার চুরি ছিনতাই এখন পর্যন্ত একটু কম। তবে পুলিশের কাছ থেকে তারা খুব একটা নিরাপত্তা পাননা বলে উল্লেখ করছিলেন রহমান।
বোবা জাতির ব্যবসা করি, মূর্খ সমাজ, আমরা এমনিতে নির্যাতিতের তালিকায় আছি। আমরা কোনো নিরাপত্তা পাই না। এবার মহাসড়কে যাতে গরুর ট্রাক না আটকানো সেজন্য এরই মধ্যে পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে।
মজিবুর রহমান বলছেন, এবার মহাসড়কে চাঁদাবাজি কম। পুলিশও চাঁদা দাবি করছে না। তবে সামান্য কিছু টাকা তারা পুলিশকে দিচ্ছেন। এক-আধশ টাকা আমরা পুলিশকে খুশিতেই দিই। আগে যেমন কইতো ২ হাজার দাও, ৩ হাজার দাও, ৫ হাজার দাও, এবার সেটা নেই, বলছিলেন রহমান। সূত্র : বিবিসি বাংলা

Featured অর্থ বাণিজ্য