ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে নগরবাসীর নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ইব্রাহিম ফাতেমী, দিদার আহমেদ ও খন্দকার গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। সার্বিক নিরাপত্তায় আইন-শৃংখলা বাহিনী সমন্বয় করে কাজ করবে। তিনি বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় পশুর হাটগুলোর নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে প্রতিটি হাটে পুলিশের কন্ট্রোল রুম স্থাপন ও মনিটরিংএ সিসি ক্যামেরা থাকছে। মহানগরীর নির্ধারিত ২৩টি পশুর হাট ছাড়া অন্য কোথাও হাট বসতে পারবে না। এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গরুর হাটের ব্যবসায়ীদের টাকা লেনদেন যেন নির্বিঘেœ হয় এবং ব্যবসায়ীরা এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় যেন টাকা নিয়ে আসতে পারে সেজন্য ডিএমপি মানি স্কট সুবিধা প্রদান করবে। কোরবানির গরুর চামড়া যেন ঢাকার বাইরে যেতে না পারে সেজন্য ঢাকা মহানগরের ১৩টি বহির্গমন পথে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, এর মধ্যে ব্যাতিক্রম থাকবে গাবতলী। কারণ হেময়েতপুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হয়। তাই হেমায়েতপুরের পরে ঢাকা জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিএমপি চেকপোস্ট বসাবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের সময় অনেক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীর আবির্ভাব ঘটে। তাদেরকে প্রতিরোধে প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঈদে বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলেস্টেশন এবং বাসাবাড়ি নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, চমড়া পাচার রোধে ১৩টি বহির্গমনে চেকপোস্ট থাকবে। এসব চেকপোস্ট দিয়ে চামড়া বাইরে যেতে পারবে না। কেবল আমিনবাজারে বাধা দেয়া হবে না। হেমায়েতপুরে হাট আছে, সেখানে চেকপোস্ট বসিয়ে চেক করা হবে। কোরবানির ঈদে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কম দামে চামড়া কেনে। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক থাকবে।