থাইল্যান্ডের পেট্রোলিয়াম কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ড. মদুরাপচানা ইতারং বিদায়ী সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রীকে একথা বলেন। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের পেট্রোলিয়াম কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহী। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, থাই রাষ্ট্রদূত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ঘনিষ্ট নিরাপত্তা সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ প্রসঙ্গে এই নারী রাষ্ট্রদূত গত ১৭ আগস্ট ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলে একটি হিন্দু মন্দিরের বাইরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা উল্লেখ করেন। থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে মানবপাচার যুক্ত এবং ঘটনার পরে ২০০ ভূয়া পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সকল ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সমাজ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলে তার প্রশাসন কাউন্টার টেরোরিজম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী দন্ডপ্রাপ্তদের বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের জন্য থাই সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন গঠন করছে এবং সেখানে সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে বিনিয়োগের জন্য থাই উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে থাই রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, একটি থাই প্রতিষ্ঠান ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছে যা রাজধানী ঢাকায় যানজট নিরসনে সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আশা প্রকাশ করে আগামী দিনগুলোতে এ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। এ সময় ৩ বছরের অধিক সময় বাংলাদেশে অবস্থানকালে আন্তরিক সহযোগিতা দেয়ার জন্য রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশের অসাধারণ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এবং তিনি আশা করেন, দেশ ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করবে।
প্রধানমন্ত্রী ভারত ও মায়ানমারের সাথে সমুদ্র বিজয় এবং বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) যোগাযোগ সংযোগ বৃদ্ধিতে মটর ভেহিকেল এগ্রিমেন্ট সম্পাদন করেছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরো উন্নয়নে রাষ্ট্রদূতের উল্লেখ যোগ্য অবদানের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান।