হাঙ্গেরির একজন মহিলা চিত্রগ্রাহকের কাছে লাঞ্ছিত অভিবাসী বাবা সন্তানকে নিয়ে স্পেনে নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন। ওসামা আবদুল মোহসেন এখন স্পেনের একটি স্পোর্টস স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন। ইউরোপে আসার আগে তিনি সিরিয়ায় একটি ফুটবল টিমের কোচ ছিলেন। বুধবার এই পরিবারটির মাদ্রিদে আসার কথা রয়েছে।
তিনি স্প্যানিশ একটি সংবাদ মাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলছেন, এখন আমার সন্তানের স্পেনে একটি চমৎকার ভবিষ্যৎ তৈরি হবে।
গত সপ্তাহেই হাঙ্গেরি-বর্ডার সীমান্তে পুলিশের তাড়া খেয়ে সন্তানকে কোলে নিয়ে দৌড়ানোর সময়, হাঙ্গেরির একটি টেলিভিশনের একজন মহিলা চিত্রগ্রাহক তাকে পা দিয়ে আটকে ফেলে দেন।
ওই ভিডিও চিত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পেটরা লাজ্জলো নামের ওই কর্মীকে বরখাস্ত করে তার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। তিনি অবশ্য পরে তার আচরণের জন্য ক্ষমাও প্রার্থনা করেন।
মোহসেন জানান, ওই সাংবাদিক তাকে লাথি পর তিনি খুবই অবাক এবং ভীত হয়ে পড়েন। এরপর তার ছেলেটি প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে কেঁদেছে।
দীর্ঘ কষ্টকর যাত্রা শেষে ৭ বছরের সন্তান যিয়াদকে নিয়ে সিরিয়া থেকে পালিয়ে তিনি ইউরোপ এসেছেন। এর আগেই অবশ্য তার আরেক ছেলে নৌকায় করে ইউরোপ আসে।
ক্যানাফে ফুটবল স্কুলের পরিচালক মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল গালান জানান, এই পরিবারটি বাড়ি, খাবার, কাপড় এবং কোচের উপযোগী বেতন পাবেন। এ বছর ১৭ হাজার অভিবাসী গ্রহণে সম্মত হয়েছে স্পেন। সূত্র : বিবিসি বাংলা