সার্বিয়া সীমান্ত থেকে শরণার্থীদের সরিয়ে দিতে এবার টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করলো হাঙ্গেরির পুলিশ। বুধবার বিকেলে হাঙ্গেরির সীমান্তবর্তী সার্বিয়ার হরগস শহরে এ ঘটনা ঘটে।
হাঙ্গেরির এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, সার্বিয়ায় যেসব অভিবাসন প্রত্যাশী সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছিল, তারা হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোতল ছুড়তে শুরু করেন। সেই সঙ্গে তারা বেরিকেড ভাঙারও চেষ্টা করেন।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জর্জি বাকোন্দি জানিয়েছেন, একজন সন্ত্রাসীকেও আটক করেছে পুলিশ। তবে তার পরিচয় সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
এদিকে, অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় নতুন পথের সন্ধান শুরু করেছেন অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থীরা। এরই অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশ ক্রোয়েশিয়ায় ঢুকতে শুরু করেছেন তারা। দেশটির কর্তৃপক্ষও তাদের স্বাগত জানাচ্ছেন।
ক্রোয়েশীয় পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার থেকে তাদের সীমান্ত অতিক্রম শুরু করেছেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা। তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসলেও ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্তবর্তী পুলিশ স্টেশনগুলোয় নিবন্ধন শেষে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবে অভ্যর্থনা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, ক্রোয়েশিয়ায় প্রবেশ করা অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থীদের বেশিরভাগই সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে আগত।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, শরণার্থীদের সঙ্গে এ অপ্রত্যাশিত আচরণে তিনি মর্মাহত।