লুইস সুয়ারেসের গোলে এগিয়ে গিয়েও রোমে জিততে পারেনি লুইস এনরিকের শিষ্যরা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার অভিযানের শুরুতে রোমার সঙ্গে ড্র করেছে বার্সেলোনা।
‘ই’ গ্রুপে ১-১ ব্যবধানে ড্র হওয়া ম্যাচে রোমার গোলটি করেন মিডফিল্ডার আলেসান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জি।
বুধবার রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চেপে ধরার চেষ্টা করে শিরোপাধারী বার্সেলোনা। স্পেনের দলটির এই প্রচেষ্টা খুব একটা সফল হয়নি। প্রতি আক্রমণ নির্ভর কৌশলী ফুটবল খেলা রোমা সুযোগ পেলেই পরীক্ষা নিচ্ছিল অতিথি দলটির রক্ষণভাগের।
ম্যাচের প্রথম সত্যিকারের সুযোগটিকে গোলে পরিণত করেন সুয়ারেস। উরুগুয়ে স্ট্রাইকারের গোলে দারুণ অবদান রয়েছে মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচের। ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডারের দারুণ ক্রসে কেবল একটা টোকাই দরকার ছিল। অরক্ষিত সুয়ারেস হেড করে খুব কাছ থেকে সেই বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি।
পিছিয়ে পড়ার পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে রোমা। সমতা ফেরাতে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ইতালির দলটির। ৩১তম মিনিটে মিডফিল্ডার ফ্লোরেঞ্জির অবিশ্বাস্য এক গোলে উল্লাসে মেতে উঠে পুরো স্টেডিয়াম।
নিজের অর্ধে বল পেয়ে ডান প্রান্ত ঘেঁষে মধ্যরেখা পার হয়েই গোলে শট নেন ফ্লোরেঞ্জি। একটু এগিয়ে আসা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের-স্টেগেন বিপদ বুঝে পিছিয়ে এসে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ফেরাতে পারবেন না বুঝতে পেরে এক সময়ে থেমে যান তিনি। তাকে হতবাক করে তার মাথার ওপর দিয়ে বারের ভেতরের কানায় বল লেগে জালে জড়ায়।
প্রথমার্ধে লিওনেল মেসি ভীতি ছড়ান রোমা শিবিরে। কিন্তু ক্রসবার উঁচিয়ে যাওয়া শটগুলো কোনো ফল বয়ে আনেনি। ৩৮তম মিনিটে তার একটি প্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে রুদি গার্সিয়ার শিষ্যরা কঠিন পরীক্ষায় ফেলেন বার্সেলোনার তরুণ গোলরক্ষককে। ৪৪তম মিনিটে বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার রাদজা নাইনগোলানের জোরালো শট কোনোমতে ঝাঁপিয়ে ঠেকান টের স্টেগেন।
পরের মিনিটে আবারও সুযোগ তৈরি করে রোমা। বার্সেলোনার রক্ষণ ভেঙে বিপজ্জনক অবস্থানে পৌঁছালেও মোহামেদ সালেহ শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। রোমাকে এগিয়ে নেওয়ার খুব ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন চেলসি থেকে ধারে খেলতে আসা মিশরের এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুইবার রোমাকে বাঁচান গোলরক্ষক। ৪৮তম মিনিটে মেসির একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়ার পর সুয়ারেসকেও হতাশ করেন তিনি। এই সময়ে রোমার নিয়মিত গোলরক্ষক চোট পেলে বদলি গোলরক্ষক নামায় তারা।
৭৮তম মিনিটে নেইমার ও মেসি দুবার অল্পের জন্য গোলের দেখা পাননি। ডি বক্স থেকে নেওয়া নেইমারের জোরালো শট কোনোমতে ফেরান নাইনগোলান। এরপর মেসির শট গোলরক্ষকের গ্লাভস ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে বাইরে চলে যায়।
চার মিনিট পর বার্সেলোনা অধিনায়ক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাকে হতাশ করেন রোমার গোলরক্ষক।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করার সুযোগ আসে বার্সেলোনার সামনে। মেসির ক্রস জালে পাঠানোর সুবর্ণ সুযোগ ছিল জর্দি আলবার সামনে। কিন্তু স্বাগতিকদের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেননি তিনি।-সংবাদসংস্থা