রাজধানীর সেগুনবাগিচার আবাসিক হোটেলে সাহেদ-উদ-দৌলা বিদ্যুতের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার দায়িত্ব গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলেও প্রায় দেড় মাসেও মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি।
গত ৪ ফেব্রæয়ারি সাহেদের (৪২) লাশ সেগুনবাগিচার চট্টলা আবাসিক হোটেলের ১৫/২ নম্বর রুম থেকে উদ্ধারের পরদিন তার বড় ভাই আরিফ-উদ-দৌলা রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহতের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর সেই রিপোর্ট এবং লিভার এবং হার্টের কেমিক্যাল টেস্টের জন্য পাঠানো হয় মহাখালীতে অবস্থিত সিআইডি’র পরীক্ষাগারে।
রমনা থানা পুলিশ মামলাটির রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হলে গত ১০ ফেব্রæয়ারি ডিবি’র ইন্সপেক্টর তপন চন্দ্র সাহাকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করে মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর দীর্ঘ ১ মাস ৭ দিনেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য ও ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি ডিবি।
প্রাথমিকভাবে রমনা থানা পুলিশ ধারণা করে, অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সাহেদের পরিবারের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীল জখমের চিহ্ন রয়েছে। তিনি ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের স্টাফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করতেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের টিম-৪ এর সহকারী কমিশনার তপন চন্দ্র সাহা তদন্তের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে বাংলানিউজের কাছে স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত তারা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘ময়না তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনও আমরা এখনও হাতে পাইনি। তবে মহাখালীতে ময়না তদন্তের যে কেমিক্যাল টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছিল তা সম্পন্ন হয়েছে। আমরা খবর নিয়ে জেনেছি, মহাখালী থেকে ওই রিপোর্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন ঢাকা মেডিক্যাল থেকে আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই কাজ এগিয়ে যেতে পারবো।’