দক্ষ শেফ বা বাবুর্চির অভাবে সঙ্কটে পড়ছে বৃটেনের জনপ্রিয় কারি শিল্প। মূলত ভারতীয় উপ-মহাদেশীয় বিভিন্ন মশলাদার খাবারের এসব রেস্তোরাঁর বেশিরভাগই বাংলাদেশী।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভালো শেফ বা রাঁধুনির অভাবে তিন ভাগের একভাগ কারি হাউস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইমিগ্রেশন রুলস রিভিউ করার দাবিও উঠছে। কারি হাউজগুলো এই শিল্পটিকে বাঁচাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ম্যানচেস্টারের বিখ্যাত কারি মহল্লার উইমস্লো রোডের রেস্তোরাঁগুলোর খাবার অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু এগুলো আর কদিন টিকে থাকবে সেটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রতি সপ্তাহেই অন্তত দুটো করে রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন রেস্তোরাঁ মালিকরা।
এক রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী শহোম ট্রেডার্স এসোসিয়েশনের শাবির মুঘল বলছিলেন, ‘৬ বছর আগেও এই সড়কে ২২টির মতো রেস্তোরাঁ ছিল আর এখন আছে মাত্র নয়টি । এর মধ্যে মাত্র তিনটি ভালো করছে। বাবুর্চি সঙ্কটের কারণে টিকে থাকার জন্যে লড়াই করছে বাকিগুলো।’
মুঘলের সাথেই কাজ করছেন তার বন্ধু জোবাইয়া সাইয়িদ। নিজের রেস্তোরাঁটি ৮ বছর চালানোর পর বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
ভালো শেফের অভাবের জন্যে অনেকেই দায়ী করছেন ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন রুলস এবং দেশটির মধ্যেই দক্ষ শেফ তৈরি না হওয়াকে। ব্রিটেনের জনপ্রিয় এ শিল্পটিতে এখন জনবলের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ।
সে কারণেই দাবি উঠেছে ইমিগ্রেশন রুলসটি নতুন করে পর্যালোচনার। প্রায় ১২শ’ রেস্তোরাঁর প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘দি বাংলাদেশী ক্যাটারার্স গিল্ড’ একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। কিভাবে যুক্তরাজ্যে এশিয় রেস্তোরাঁর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে-সেই বিবরণই স্থান পেয়েছে এই প্রতিবেদনে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী ২৯ হাজার পাউন্ডের বেশি আয় এবং ভালো ইংরেজি বলতে পারাসহ আরও কিছু শর্ত পূরণ করলেই কেবল যুক্তরাজ্যে কাজের অনুমতি পাচ্ছে একজন শেফ। সূত্র : বিবিসি বাংলা