আগামী ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর শূন্য আসন টাঙ্গাইল-৪ এ উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ উপ-নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষণা করেন। এদিকে পদত্যাগের পর লতিফ সিদ্দিকী গণমাধ্যমে বলেছেন, তিনি আর নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহীরা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনায়নপত্র দাখিলের সুযোগ পাবেন। ৩ অক্টোবর যাচাই-বাছাই হবে; ১১ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনায়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। আর ভোটগ্রহণ হবে ২৮ অক্টোবর। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে পর্যবেক্ষণ করতে কোনো বাধা নেই। তবে গ্রুপ বাই গ্রুপ ভোটকেন্দ্রে এবং ভোটকক্ষে যেতে হবে। কেননা, অনেক লোক এক সঙ্গেই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করলে নির্বাচন বিঘ্নিত হয়। স্মার্ট কার্ডের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এতে ডুপ্লিকেট করার কোনো সুযোগ থাকবে না। এতে ২৫টি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। বাইরে থেকে কার্ড তৈরি করে আনা হয়েছে। সবকিছু রেডি হলে কার্ডগুলো ছাপানো শুরু হবে। এরপর এলাকা ভিতিত্তে পর্যায়ক্রমে তা বিতরণ করা হবে। এখনো কবে দেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত হয়নি। চলতি বছরেই শুরু করা হবে।
প্রসঙ্গত টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ৫বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন লতিফ। হজ নিয়ে মন্তব্যের কারণে বিতর্কের মধ্যে গতবছর তাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর পাশাপাশি দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়। এরপর তার সংসদ সদস্যপদ থাকা নিয়ে জটিলতার নিষ্পত্তিতে শুনানির আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। লতিফ সিদ্দিকী এর বিরোধিতায় আদালতে গেলেও তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পরে ২৩ অগাস্ট ওই শুনানিতে গিয়ে নিজেই পদত্যাগ করবেন বলে জানান লতিফ সিদ্দিকী। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর স্পিকারের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর তার আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়