প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের অন্যতম প্রধান খাত আয়কর। তিনি বলেন, কর নির্ধারণই আয়কর বিভাগের একমাত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য নয় বরং করদাতাদের সেবা প্রদান ও মৌলিক কর শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা আয়কর বিভাগের অন্যতম একটি কর্তব্য।
আজ মঙ্গলবার আয়কর মেলা উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। ‘সমৃদ্ধির সোনালি দিন, আনতে হলে আয়কর দিন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছরের জাতীয় আয়কর দিবস ও আয়কর মেলার মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘সুখি স্বদেশ গড়তে ভাই, আয়করের বিকল্প নাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল জেলায় ও প্রথমবারের মত ২২টি উপজেলায় আয়কর মেলা আয়োজনের ফলে করদাতাগণ আয়কর প্রদানে উৎসাহিত হচ্ছেন। নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আয়কর বিভাগ সম্পর্কে জনমতে ভীতি ও সংশয় দূর হচ্ছে। এর ফলে আয়কর খাতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব অর্জিত হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আয়কর বিষয়ক প্রচার-প্রচারণার অন্যতম উপলক্ষ হিসেবে এ মেলা সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে। এই সেবাধর্মী উদ্যোগ ঈন্সিত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে শুরু করে প্রতিবছর আমাদের সরকার আয়কর মেলার আয়োজন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আয়কর মেলায় ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রদান করা হচ্ছে যা করদাতাদের সেবা প্রদানে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। পাশাপাশি কর বিভাগের সাংগঠনিক কাঠামোর পুনর্বিন্যাস, অটোমেশন, তথ্যকেন্দ্র চালু, ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশনসহ আয়কর খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার বিদ্যমান আয়কর আইনকে আরও সহজ করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ‘ই-পেমেন্ট’ চালুর ফলে করদাতাগণ এখন অনলাইনে কর দিতে পারছেন। তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ১৬ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় শহরে ১৬-২২ সেপ্টেম্বর ৭ দিন, জেলা শহরগুলোতে ৪ দিন এবং প্রথমবারের মত ২৯টি উপজেলায় ২ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আয়কর খাতে সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান এবং আয়কর মেলা-২০১৫ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। একই সাথে তিনি দেশের করদাতা, কর প্রশাসন, কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এ মেলা আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।