দেশের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সিমের তথ্য পাঠানো শুরু করেছে। এসব তথ্য যাচাই করবে নির্বাচন কমিশন। তবে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের চুক্তি না হওয়ায় এখনই যাচাই সংক্রান্ত কোনো তথ্য দিবে না কমিশন।
নির্বাচন কমিশনসূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত দেশের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ৫০ হাজার, রবি ১৩ হাজার এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো পাঁচ হাজার করে নিবন্ধিত সিমের তথ্য পাঠিয়েছেন। তবে এসব প্রতিষ্ঠান আবেদন করলেও সোমবার বিকেল চারটা পর্যন্ত কোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়নি।
এ ব্যাপারে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন বলেন, “টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য যাচাইয়ের জন্য আমাদের কাছে আবেদন করেছে। এরই মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। অন্যদের চিঠি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।”
সালেহ উদ্দীন আরো বলেন, “এরই মধ্যে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য পাঠানো শুরু করেছে। আমরা এগুলো যাচাই করে দেখব।” তিনি আরো বলেন, “চুক্তি ছাড়া কোনো ভেরিফিকেশন সার্ভিস দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে তথ্য যাচাইয়ের বিষয়ে বৃহস্পতিবার কথা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা ‘বাল্ক ডাটা (একসঙ্গে অনেক গ্রাহকের তথ্য)’ পেয়েছি তা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করব। তবে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির পরই মন্ত্রণালয়ের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য হস্তান্তর করা হবে।”
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের(বিটিআরসি) হিসাব অনুযায়ী, গত জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের ছয়টি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৮৭ লাখ। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর, পাসপোর্ট অধিদপ্তর ছাড়াও বেসরকারি দুটি ব্যাংক এ পর্যন্ত কমিশনের কাছ থেকে যাচাই করা সংক্রান্ত সেবা নিচ্ছে।